৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কমিশনের ভেতরে এ সভা শুরু হয়। বিকেল ৫টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সভা চলছিল।
Advertisement
এর আগে এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কমিশন ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
দুপুরের দিকে চাকরিপ্রার্থীরা যখন বাইরে বিক্ষোভ করছিলেন, তখন ভেতরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পিএসসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম। তিনি ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবি যৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেন।
তার সেই মন্তব্য গণমাধ্যমে দেখার পর প্রার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড পার হয়ে পিএসসির ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। পরে পিএসসি কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে বৈঠক বসতে চান বলে জানান।
Advertisement
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয় ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর। ছয় মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনও অর্ধেক প্রার্থীর ভাইভা শেষ হয়নি। যে গতিতে পিএসসি এগোচ্ছে, তাতে ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা শেষ করতে আরও এক বছর সময় লেগে যাবে।
এদিকে এর মধ্যে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা রয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রার্থী ৪৬তম বিসিএসের লিখিত দেবেন। তারা মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন, নাকি লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন-তা নিয়ে পিএসসির কাছে জবাব চেয়েছেন।
অন্যদিকে আজ দুপুরে ব্রিফিংয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম বলেন, যারা পড়াশোনা করেছে, তারা সবাই তৈরি। তারা অনেক আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছে। আমি মনে করি তারা দুই সপ্তাহ পরীক্ষা পেছানোর জন্য বসে নেই। একই সিলেবাসে দুটি পরীক্ষা। একটা সিলেবাস পড়ে পরীক্ষা দেওয়া যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষা পেছানোর দাবিটা মনে হয় না যৌক্তিক।
এএএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম
Advertisement