বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, শেখ হাসিনা ভারতের সহায়তায় বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট ভূমিকা অবতীর্ণ করেছে। হাসিনা একদিনে ফ্যাসিস্ট হয়নি। গত ১৫-১৬ বছর যে গুম-খুন হয়েছে, সর্বশেষ জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। হেলিকপ্টার থেকেও গুলি করা হয়েছে। সরাসরি যে গণহত্যা হয়েছে এগুলোর মদতে ছিল ভারত। ভারত যদি একদল ও এক ব্যক্তিকে প্রশ্রয় না দিতো বাংলাদেশে এটা হওয়ার সুযোগ ছিল না।
Advertisement
শনিবার (৫ মার্চ) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার উত্তর মজুপুর এলাকায় সনাতনী দেবালয়ে স্নান ও হরিনাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ্যানি বলেন, আমরা সংস্কার চাই। সংস্কার করার জন্য সবার আগে আমাদের প্রস্তাবনা ছিল, যেটা ৩১ দফা। সেই ৩১ দফায় স্পষ্ট, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার কথা বলা হয়েছে। সেখানে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট, একজন প্রধানমন্ত্রী পরপর দুইবার থাকতে পারবেন না, পার্লামেন্টে যিনি এমপি হবেন, তার কথা বলার স্বাধীনতা রয়েছে। সবার জন্য শিক্ষা, সবার জন্য স্বাস্থ্য ও গণমাধ্যম কমিশন গঠনের কথা বলা আছে। বিচারালয়, আইনের শাসনসহ সব সংস্কার করে বাংলাদেশে একটা নতুন সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য স্পষ্ট বলা আছে। আমরা সংস্কারের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। এ সংস্কার পাঁচ বছর আগে ধারাবাহিকভাবে ধরে ধীরে ধীরে আমরা চাচ্ছি। যা এখন ৩১ দফা।
তিনি আরও বলেন, আমরা লড়াই করেছি-সংগ্রাম করেছি ভোটের জন্য। আমার ভোট আমি দেবো। কিন্তু আমার ভোট আমি না দিয়ে ভারতের মদদে এক ব্যক্তি শাসন করবে, শাসক ফ্যাসিস্ট হবে, কর্তৃত্ববাদী শাসক থাকবে এটা আমরা কখনো চাইনি। এ দেশের গণতন্ত্র ছিল হুমকির মুখে। আজকে পরিবর্তিত সময়ে, নতুন অধ্যায়ে আমরা একত্রিত হয়েছি। এ অধ্যায় বলতে সবাই মিলেমিশে বাংলাদেশ। সবার আগে বাংলাদেশ। সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশ। দেশ ও দেশের মানুষকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এজন্য আমরা বলছি বিগত দিনে যারা অত্যাচার-নির্যাতন, লুটপাট, গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের বিচার আগে করতে হবে।
Advertisement
এসময় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শংকর মজুমদার, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি ডা. রত্নদ্বীপ পাল, সাধারণ সম্পাদক মানিক সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন চন্দ্র দেবনাথ ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল সাহা উপস্থিত ছিলেন।
কাজল কায়েস/আরএইচ/জেআইএম