গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৫ জন জরুরি সহায়তা কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় হামাসকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস সোমবার (৩১ মার্চ) এই মন্তব্য করেছেন।
Advertisement
গত সপ্তাহে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে নিয়োজিত এসব কর্মীকে হত্যা এবং তাদের যানবাহন ধ্বংস করে ইসরায়েলি বাহিনী। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ব্রুস বলেন, গাজায় যা কিছু ঘটছে, সব কিছুর জন্য হামাসই দায়ী।
আরও পড়ুন>>
ঈদের আনন্দ নেই গাজায় ঈদের দিন গাজায় ৬৪ জনকে হত্যা করলো ইসরায়েল ঈদের দ্বিতীয় দিনও গাজায় ইসরায়েলি তাণ্ডব, নিহত অন্তত ৩৪তিনি আরও বলেন, এই সব কিছু এক মুহূর্তেই থেমে যেতে পারে, যদি হামাস সব বন্দি এবং তাদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেয় এবং অস্ত্র সমর্পণ করে।
Advertisement
ব্রুস বলেন, প্রত্যেক প্রাণহানিই দুঃখজনক, সেটা যে-ই হোক, যেখানেই থাকুক। তবে তিনি দাবি করেন, হামাস দীর্ঘদিন ধরে বেসামরিক অবকাঠামোর অপব্যবহার করছে এবং নিজেদের রক্ষার জন্য এটি ব্যবহার করছে। ফলে মানবিক সহায়তা কর্মীরা সংঘাতের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে।
হামাস এই দাবি অস্বীকার করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েলের যে দাবি করে, হামাস বেসামরিক স্থাপনা মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে, তা খতিয়ে দেখলে বিশ্বাসযোগ্যতা পাওয়া যায় না। কেননা, ইসরায়েল বারবার হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স ও স্কুলে হামলা চালিয়েছে, যেখানে হামাস যোদ্ধাদের উপস্থিতির কোনো প্রমাণ ছিল না।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ১ হাজার ৪০২ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ১১১ জন জরুরি সহায়তা কর্মীকে হত্যা করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবশেষ তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৩৫৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ জন। তবে গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর বলেছে, মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে, কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া হাজারো মানুষকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
Advertisement
সূত্র: আল-জাজিরাকেএএ/