খুলনায় ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে মুক্তিযুদ্ধ ও গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদের মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়।
Advertisement
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল আটটায় খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত এ জামাতে ইমামতি করেন খুলনার প্রবীণ আলেম, জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা মোহম্মদ সালেহ।
ঈদের জামাতে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে মুক্তিযুদ্ধ ও গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদের মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়। এছাড়া ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া করেন মুসল্লিরা। পরে পরষ্পর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসল্লিরা।
Advertisement
অন্যদিকে, সকাল নয়টায় খুলনা টাউন জামে মসজিদে ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা নগরীর নিউমার্কেট সংলগ্ন বায়তুন-নুর-জামে মসজিদ, ডাকবাংলা জামে মসজিদ, ময়লাপোতা বায়তুল আমান জামে মসজিদ, সোনাডাঙ্গা হাফিজনগর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ, খুলনা ইসলামাবাদ ঈদগাহ ময়দান, খালিশপুর ঈদগাহ ময়দান, পিটিআই জামে মসজিদ, কেডিএ নিরালা জামে মসজিদ, সিদ্দিকীয়া মাদরাসা, দারুল উলুম মাদরাসা, আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল মসজিদ, শিপইয়ার্ড, লবণচরা, চাঁনমারী, রূপসা, টুটপাড়া, মিয়াপাড়া, শেখপাড়া, বসুপাড়া, জোড়াগেট সিএন্ডবি কলোনী মসজিদ, বয়রা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন, জেলা পুলিশ লাইন, খালিশপুর ক্রিসেন্ট জুট মিলস, বিএল কলেজ, দেয়ানা ঈদগাহ, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা, খানজাহান নগর খালাসী মাদরাসা ঈদগাহ ও দৌলতপুর, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর ও খানজাহান আলী থানার ঈদগাহ ময়দানসহ নগরীর বিভিন্ন মসজিদ এবং ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আরিফুর রহমান/এফএ/এমএস