শেষ সময়ে ঈদে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। কমলাপুরে তাই যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। শুরু থেকে এবারের ট্রেনযাত্রা স্বস্তিদায়ক হলেও শনিবার সন্ধ্যার পর তার উল্টো চিত্র দেখা গেছে।
Advertisement
এদিন কুড়িগ্রামগামী আন্তঃনগর কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ও পঞ্চগড়গামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন প্রথমে ছাদ ভর্তি যাত্রী নিয়ে নির্ধারিত সময়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়। এরপর লালমনিরহাটগামী আন্তঃনগর ট্রেন লালমনি এক্সপ্রেস রাত ৯টা ৪৬ মিনিটে ছাদ ভর্তি মানুষ নিয়ে দেশের প্রধান ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন (কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন) ছেড়েছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ঢাকা ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোর এসি কোচ ছাড়া প্রতিটি কোচের আসন ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ণ। এছাড়া কোচগুলোর ভেতরেও যে যেখানে পেরেছেন দাঁড়িয়ে অবস্থান নিয়েছেন। মানুষের ভিড় এতটাই যে কোচগুলোর দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। দরজাগুলোতে বাদুড়ঝোলা হয়েও মানুষ যাত্রা করেছেন।
Advertisement
আরও পড়ুন
কমলাপুরে ভিড় আছে ভোগান্তি নেই, নির্ধারিত সময়ে ছাড়ছে ট্রেন টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে তৎপর রেল কর্তৃপক্ষ ঈদে ফিরতি যাত্রায় ৯ এপ্রিলের টিকিট মিলবে রোববারএসব ট্রেনের ছাদে শত শত মানুষ অবস্থান করছেন। তারা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়েই ট্রেনের ছাদে উঠেছেন। তারপরও রেলওয়ে কর্মীরা ও পুলিশের সদস্যরা তাদের ছাদে উঠতে নিরুৎসাহিত করেছেন।এছাড়া বিভিন্ন ট্রেনের অসংখ্য যাত্রী প্ল্যাটফর্মে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরিফ গণমাধ্যমকে বলেন, কেউ যেন ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করতে না পারে সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারপরও ঘরমুখো মানুষ ট্রেনের ছাদে উঠে পড়েছে। এখন যদি আমরা তাদের ফোর্স করে (জোরপূর্বক) নামাতে যাই, এতে যদি কেউ ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত হন, তখন দোষটা রেলওয়েরই হবে।
এনএস/ইএ
Advertisement