লাইফস্টাইল

ঈদে সুস্থ থাকতে কী করবেন, কী করবেন না

ঈদে সুস্থ থাকতে কী করবেন, কী করবেন না

ঈদ করতে নাড়ির টানে সবাই ছুটছেন বাড়িতে। সবাই মিলে একসঙ্গে ঈদে আনন্দ ভাগাভাগি করার মধ্যে সুখ। সবাই যাতে ঈদ ভালোভাবে করতে পারে, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দেশের হাসপাতালগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন জরুরি চিকিৎসাসেবা চালু রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত জনবল নিশ্চিত করার জন্য ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে।

Advertisement

ঈদ আনন্দ সবার জন্যই বিশেষ। এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদ সবার জন্য খুশির বার্তা বয়ে আনে। ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হতে থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ঈদ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঋতুতে হয়। এবার চৈত্র মাসের শেষের দিকে ঈদ পড়েছে।

গরম বেশি হওয়ায় আমাদের শরীরের প্রতি একটু বাড়তি যত্ন নিতে হবে। নাহলে গরমে নানান স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়তে পারেন। এই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা টিবি হাসপাতালের পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার।

তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকলে, শরীর থেকে ঘাম বের হওয়ার কারণে অনেক ইলেক্ট্রোলাইট বের হয়ে যায়। তখন ডিহাইড্রেশন দেখা দিতে পারে তাই এই গরমে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে যাতে শরীরে হাইড্রেশন ঠিক থাকে।

Advertisement

মনে রাখতে হবে, তেল-মসলাযুক্ত খাবার বেশি খেলে বুক জ্বালাপোড়া, এসিডিটি, বদহজম হতে পারে। তাই খুব তেল মসলাযুক্ত, ঝাল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

ঈদের সময় খাদ্য তালিকায় স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। নানারকম ফলের তৈরি সালাদ, কাস্টার্ড, ফলের রস, পানি জাতীয় খাবারের বেশি রাখতে হবে।

ঈদের দিন সবাই একটু তেল মসলা যুক্ত খাবার খেয়ে থাকে। উৎসবের খাবার সেক্ষেত্রে ঘি এর পরিমাণ অল্প দিতে হবে এবং মাংস রান্না করতে গেলে চর্বি বাদ দিয়ে রান্না করলে কিছুটা স্বাস্থ্যসম্মত হয়। গরুর মাংস বা খাসির মাংস খেতে গেলে খুব অল্প পরিমাণে খেতে হবে কারণ দীর্ঘ একমাস সকাল থেকে টানা ১৪ ঘণ্টা না খেয়ে থেকে পরে ইফতারের সেহরিতে যে অভ্যাসটা গড়ে ওঠে, সেটা ঈদের সময় একবারে তাড়াহুড়া করে সকাল থেকে বেশি পরিমাণে খাবার খেলে তাতে হিতে বিপরীত হয়ে যায়।

আস্তে আস্তে অল্প পরিমাণে খাবার খেতে হবে এবং শুরুতেই ঈদের দিন সকালবেলায় সেমাই, রুটি দিয়ে খাবারটা শুরু করতে পারেন, দুপুরে মাংস খেলো কিন্তু পরিমাণে কম। পানি বেশি করে খাবেন এবং গরমের মধ্যে বাইরে গেলে অবশ্যই ছাতা, পানির বোতল সঙ্গে নিন।

Advertisement

রাতের খাবার মসলাদার না হওয়াই ভালো। রাতের খাবার ৮ টার আগেই খেয়ে নিন। রাতে খাওয়ার অন্তত দু’ঘণ্টা পর শুতে যান, তাতে হজম ভালো হয়।

আরও পড়ুন

ইফতারে রাখুন বাহারি সব পুষ্টিকর খাবার রোজায় শরীরচর্চা কখন করবেন?

কেএসকে/এমএস