বরিশালে বালুমহাল ইজারার দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সেনাসদস্যকে অপহরণের পর আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করা হয়।
এর আগে সোমবার (২৪ মার্চ) রাতে নগরীর রিচমার্ট আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে অপহৃত সেনাসদস্য জাফরকে উদ্ধার করা হয়। এসময় হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব, বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করে সেনাবাহিনী।
গ্রেফতাররা হলেন বরিশালের হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট দেওয়ান মো. মনির হোসেন (৪২), বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নুর হোসেন সুজন (৩৫) ও হিজলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ইমরান খন্দকার (৩৫)।
Advertisement
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান। মামলার বাদী চাঁদপুরের মতলব থানার বাসিন্দা আব্দুল মতিন কাজী।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় হওয়া মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ ও আটজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
মামলায় জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক, বরিশাল জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক, বরিশাল জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদককে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বালুমহাল ইজারা নিতে সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে দরপত্র জমা দিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যান অপহরণের শিকার জাফরের স্বজনরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন জাফর। এসময় বাধা দেন আসামিরা। একপর্যায়ে আসামিরা মামলার বাদী মতিনের ভাতিজা সেনাসদস্য জাফরকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে অপহরণ করে লঞ্চঘাট এলাকার রিচমার্ট হোটেলের ৩১০ নম্বর কক্ষে আটকে রাখেন। সেখানে তিনি নিজেকে সেনাবাহিনীর ল্যান্স করপোরাল পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে মারধর করা হয়। তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার, আইফোন এবং নগদ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানোর পর সেনাবাহিনী রিচমার্ট হোটেলে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে।
Advertisement
এ ব্যাপারে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, গ্ৰেফতার তিনজনকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শাওন খান/এসআর/এমএস