বিনোদন

শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন সন্‌জীদা খাতুন

শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন সন্‌জীদা খাতুন

অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছিল না। চোখে অশ্রু, হাতে ফুল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে আছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছায়ানট থেকে সংগীতজ্ঞ সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ আসবে। তারা শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন। এই তালিকায় আছেন সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক, শিল্পী, ঢাবির শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ হাজার মানুষ।

Advertisement

সন্‌জীদা খাতুনের কফিন বেলা আড়াইটায় নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাকে শেষবিদায় জানানো হয় ফু‌লেল শ্রদ্ধায়। তার আগে ছায়ানট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে কফিন নেওয়া হয় সন্‌জীদা খাতুনের।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শিল্পীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে হিমঘরে। তার অনেক পরিবার পরিজন দেশের বাইরে। তারা ফিরলে দাফনের কার্যক্রম শুরু হবে।

ছায়ানটে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন ফাহমিদা খাতুন, রা‌মেন্দু মজুমদার, খুর‌শীদ আলম, শাহীন সামাদ, সেলিনা মা‌লেক চৌধুরী, ইফফাত আরা দেওয়ান, মিনু হক, খায়রুল আনাম শাকিল, শামীম আরা নীপা, শিবলী ম‌হম্মদসহ আরও অনেকে। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছে সু‌রের ধারা, বাংলা‌দেশ মু‌ক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, ঢাকা থিয়েটার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, কণ্ঠশীলনসহ আরও কয়েকটি সংগঠন।

Advertisement

গতকাল মঙ্গলবার প্রয়াত হন দেশের এই অগ্রগণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। আগামী ৪ এপ্রিল ছিল সন্‌জীদা খাতুনের জন্মদিন। এবার তিনি ৯৩ বছরে পা রাখতেন। নিয়তির পরিহাস, জন্মদিনেই তার শোকসভা। ছায়ানট স্মরণসভা করার পরিকল্পনা করেছে। তবে এখনো সময় চূড়ান্ত করা হয়নি।

সন্‌জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল। তার বাবা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক। মা সাজেদা খাতুন গৃহিণী। সন্‌জীদা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক, ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতা দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু। দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।

আরও পড়ুন:

শেষবারের মতো ছায়ানটে সন্‌জীদা খাতুন সন্‌জীদা খাতুন মারা গেছেন

এমআই/এলআইএ/জেআইএম

Advertisement