আজ (২৬ মার্চ) ২৫ রমজান দিবাগত রাতে ইশার পর ২৬তম দিনের তারাবিহ নামাজে আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে কোরআনের ২৯ নং পারা তিলাওয়াত করা হবে। এ পারায় রয়েছে সুরা মুলক, সুরা কলম, সুরা হাক্কাহ, সুরা মাআরিজ, সুরা নুহ, সুরা জিন, সুরা মুজ্জাম্মিল, সুরা মুদ্দাসসির, সুরা কিয়ামাহ, সুরা দাহর, সুরা মুরসালাত।
Advertisement
পবিত্র কোরআনের এ অংশে আমাদের দৈনন্দিন জীবন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষা ও দিক-নির্দেশনা রয়েছে:
১. আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের অনুসরণীয় আদর্শ। কোরআনে আল্লাহ তাকে মহান চরিত্রের অধিকারী বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাই তার অনুসরণ করলে আমরাও উন্নত চরিত্রের অধিকারী হতে পারবো। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে তুমি পাগল নও। তোমার জন্য অবশ্যই আছে অফুরন্ত পুরস্কার, তুমি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী। (সুরা কলম: ২-৪)
২. আল্লাহকে সিজদা করার সুযোগ পাওয়া, তওফিক লাভ করা বান্দার জন্য মহাসৌভাগ্যের বিষয়। দুনিয়াতে আল্লাহকে সিজদা করার সুযোগ সবার জন্যই অবারিত রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে যারা আল্লাহকে সিজদা করবে, পরকালে শুধু তারাই আল্লাহকে সিজদা করতে পারবে। কাফের ও মুনাফিকরা পরকালে আল্লাহকে সিজদা করতে পারবে না। আল্লাহ বলেন, সেদিন তাদেরকে আহবান করা হবে সিজদা করার জন্য, কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবেনা। তাদের দৃষ্টি অবনত থাকবে, হীনতা তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে, অথচ যখন তারা নিরাপদ ছিল তখন তো তাদেরকে আহবান করা হয়েছিল সিজদা করতে। (সুরা কলম: ৪২, ৪৩)
Advertisement
৩. কোরআনের বাণী অস্বীকারকারীরা ক্রমশ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়। তারা টেরও পায় না যে তাদের সময় শেষ হয়ে এসেছে। আল্লাহর আজাব আসছে না দেখে তারা নিজেদের নিরাপদ মনে করে। আল্লাহ বলেন, যারা আমাকে এবং এই বাণীকে প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে ছেড়ে দাও আমার হাতে, আমি তাদেরকে এমনভাবে ক্রমে ক্রমে ধরব যে, তারা জানতে পারবেনা। আমি তাদেরকে সময় দিয়ে থাকি, আমার কৌশল অত্যন্ত বলিষ্ঠ। (সুরা কলম: ৪৪, ৪৫)
ওএফএফ/এমএস