দেশজুড়ে

নদের পাড়ে সারি সারি সেপটিক ট্যাংক, হুমকিতে পরিবেশ

নদের পাড়ে সারি সারি সেপটিক ট্যাংক, হুমকিতে পরিবেশ

ফরিদপুরের নগরকান্দায় কুমার নদের তীরে অবৈধভাবে বসানো হয়েছে সারি সারি অনিরাপদ সেপটিক ট্যাংক। যেখানে মল-মুত্রসহ ময়লাযুক্ত পানি ফেলে নদের তীরবর্তী বাসিন্দারা অজান্তেই ক্ষতি করছেন নদীর পরিবেশ।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরকান্দা পৌরসভার জুঙ্গুরদী ও চৌমুখা এলাকায় নদীর তীরে স্থাপন করা হয়েছে সারি সারি অন্তত অর্ধশতাধিক অনিরাপদ সেপটিক ট্যাংক। বর্ষার সময় নদীর পানি ওপরে উঠলে তলিয়ে যায় এসব ট্যাংক, পানিতে মিশে যায় মল-মূত্র।

স্থানীয়রা জানান, নদীর তীরের বাসিন্দারা অবৈধভাবে এই সেপটিক ট্যাংকগুলো স্থাপন করে নদী ও নদীর পরিবেশ নষ্ট করছেন। এগুলো ভরে গেলে পরিষ্কার করার প্রয়োজন হয় না। কোথাও ছিদ্র করে দিলে তা নদীর পানিতে মিশে যায়। আবার কিছু সেপটিক ট্যাংকে দেখা গেছে অনবরত মল-মুত্র বেয়ে নদীর পানিতে গড়িয়ে পড়ছে। ওই নদীর পানিতেই কেউ গোসল করছেন, কেউ রান্নার কাজেও ব্যবহার করছেন।

নদীর পরিবেশ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদীর পাড়ের সড়কটি। অধিকাংশই রাস্তা কেটে সেপটিক ট্যাংকের পাইপ নদীতে নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ রাস্তা কেটে মোটর দিয়ে নদী থেকে পানির লাইন নিয়েছেন। কিছু সংখ্যক মানুষ রাস্তা না কেটে বোরিং করেও লাইন নিয়েছেন। ফলে রাস্তার কাটা স্থান ও বোরিং করা স্থান থেকে সড়কে ভাঙন ধরেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কোটি টাকার সড়কটিও।

Advertisement

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অবৈধভাবে সেপটিক ট্যাংক স্থাপনকারী সুজাত মাতুব্বর জাগো নিউজকে বলেন, প্রায় ৩০-৪০টি পরিবার এ কাজ করেছে। নদীর মধ্যে হলেও জায়গা নিজেদের লিজ নেওয়া। তবে এমনভাবে করা হয়েছে তাতে নদী ও নদীর পানির কোনো ক্ষতি হবে না। পাইলিং করে, খোয়া-বালু, সিমেন্ট দিয়ে করা হয়েছে। জুঙ্গুরদিয়া এলাকা ছাড়াও নদীর আশপাশে বিভিন্ন এলাকায় এরকমভাবে অনেকেই করেছেন।

এ ব্যাপারে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাফী বিন কবিরের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এছাড়া ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাঈদ আনোয়ারের মোবাইলে একাধিক কল করা হলে তিনিও মোবাইল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এভাবে নদী দখল ও দূষণ করা আইনগত অপরাধ। যারা এগুলো করেছেন তারা ঠিক করেননি। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে অচিরেই এগুলো ভাঙার ব্যবস্থা করা হবে।

Advertisement

এন কে বি নয়ন/এফএ/জেআইএম