দেশজুড়ে

এখনো লাইব্রেরি ও ক্লাবের দখলে আওয়ামী লীগ নেতা!

এখনো লাইব্রেরি ও ক্লাবের দখলে আওয়ামী লীগ নেতা!

কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পাঠক হারিয়েছে জয়পুরহাট লাইব্রেরি ও ক্লাব। জরাজীর্ণ ও ভঙ্গুর অবস্থার কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে ভবনটি। এতে ভেতরে থাকা প্রায় ২০ হাজার বই নষ্ট হওয়ার উপক্রম।

Advertisement

এক আওয়ামী লীগ নেতা লাইব্রেরি ও ক্লাবটির দায়িত্বে রয়েছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পাঠকসহ অনেকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে জেলা পরিষদের জায়গায় ১৯৪৭ সালে যাত্রা শুরু করে জয়পুরহাট লাইব্রেরি ও ক্লাব। শুরু থেকেই পাঠক ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু লাইব্রেরি ভবনটি পুরোনো ও দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এখন অনেকটায় ভগ্নদশা ও ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে ভবনের ভেতরে প্রায় ২০ হাজার বই এখনো রয়ে গেছে।

জয়পুরহাট লাইব্রেরি ও ক্লাবের সদস্য ড. সাজ্জাদুল বারী জাগো নিউজকে বলেন, ‘রক্ষিত বইগুলো দ্রুত ভবন থেকে না সরালে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের অভাব ও পোকা-মাকড়েরর আক্রমণে মূল্যবান বইগুলো অচিরেই নষ্ট হবে। ১২ বছর ধরে ক্ষমতার দাপটে ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এক আওয়ামী লীগ নেতার হাতে। ক্লাবের কোনো নির্বাচন না হওয়ায় স্তবির হয়ে পড়েছে ক্লাবের কার্যক্রম। আমরা চাই দ্রুত ক্লাবের নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আনা হোক।’

Advertisement

বইপ্রেমী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘লাইব্রেরিটি এখনো একজন আওয়ামী লীগ নেতার দখলে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। ভেতরে এখনো অনেক বই রয়েছে। দ্রুত বইগুলো না সরানো হলে নষ্ট হয়ে যাবে।’

এ বিষয়ে জয়পুরহাট লাইব্রেরি ও ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রাজা চৌধুরী বলেন, এই ক্লাবের সভাপতি জেলা প্রশাসক মহোদয়রা। নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের বারবার বললেও তারা কর্ণপাত করেননি।

জানতে চাইলে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান মোর্শেদা বিনতে মামুন বলেন, লাইব্রেরি ও ক্লাবের মূল্যবান বইগুলো যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, সেজন্য বিধি মোতাবেক জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নেবেন।

জেলা প্রশাসক এবং জয়পুরহাট লাইব্রেরি ও ক্লাবের সভাপতি আফরোজা আকতার চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

আল মামুন/এসআর/জেআইএম