বরগুনায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার পর বাবার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেল থেকে অস্ত্রধারী চার পুলিশ সদস্যকে ওই বাড়ির নিরাপত্তায় নিয়োজিত করেছে বরগুনা থানা পুলিশ।
Advertisement
বিষয়টি দুপুরে নিশ্চিত করেন বরগুনার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগীর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের আদেশের পর থেকে ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তার জন্য একজন সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) নেতৃত্বে চার পুলিশ সদস্য ২৪ ঘণ্টার জন্য ওই বাড়িতে মোতায়েন করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন তিন শিফটে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ।
আরও পড়ুন বরগুনায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার, স্বজনদের দাবি হত্যা ধর্ষণ মামলার পর বাবা খুন, হত্যাকারী শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশগত ৫ মার্চ মন্টু চন্দ্র দাসের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে তাকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় সৃজীব চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওইদিনই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
Advertisement
১১ মার্চ দিনগত রাত ১টার দিকে নিজ বাড়ির পেছন থেকে মন্টু চন্দ্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন নিহতের স্ত্রী অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন। মরদেহ উদ্ধারের পর সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করা হলেও পরে তিনজনকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। একজনকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন তারেক রহমান, পাশে থাকার আশ্বাস বিএনপির পর বরগুনার সেই হিন্দু পরিবারের দায়িত্ব নিলো জামায়াতওইদিন অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হওয়া তিনজনকে বুধবার (১৯ মার্চ) হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় মন্টু দাসের বাড়িতে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওই বাড়িতে নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক চার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। যারা ওখানে দায়িত্বে রয়েছেন তাদের আমরা নিয়মিত তদারকি করছি।
নুরুল আহাদ অনিক/এসআর/জিকেএস
Advertisement