রেকর্ড গ্রিনহাউজ গ্যাসের কারণে ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ বছর ছিল ২০২৪। এতে হিমবাহ ও সাগরে বরফের ব্যাপক ক্ষয় হয়েছে। ফলে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। বুধবার (১৯ মার্চ) জাতিসংঘের আবহাওয়া বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
Advertisement
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) তাদের বার্ষিক জলবায়ু প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বছর বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ছিল ১ দশমিক ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২.৭৯ ফারেনহাইট)। যা শিল্প-পূর্ব স্তরের তুলনায় বেশি।
এমন পরিস্থিতিতে হিমবাহ ও সমুদ্রের বরফ দ্রুত গতিতে গলে যাচ্ছে। ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে।
আবহাওয়া সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বছরে গড়ে ৪ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ১৯৯৩ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত এই হার ছিল ২ দশমিক ১ মিলিমিটার।
Advertisement
২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে দেশগুলো গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য সম্মত হয়েছিল।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির রেকর্ড রাখা শুরু করার পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম জুন মাস ছিল ২০২৪ সালে।
রেকর্ড তাপমাত্রার কারণে অন্যান্য বছরের জুন মাসের চেয়ে ২০২৪ সালের জুনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দীর্ঘ তাপপ্রবাহ, খরা, অতিমাত্রায় বর্ষণ, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগও বেশি ঘটেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান করাণ হলো- জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো থেকে গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমন। বৈশ্বিক তাপমাত্রা রোধ করার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, বিশ্বের অধিকাংশ উন্নত ও ধনী দেশ এখন পর্যন্ত গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন কমাতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে কয়েক দশক ধরেই বিশ্বের তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে।
Advertisement
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম