খেলাধুলা

শান্তর ব্যাটে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি, বড় রান তাড়া করে আবাহনীর জয়

নাজমুল হোসেন শান্ত রান করতে ভুলে গেছেন। তার ব্যাট কথা বলছে না। টি-টোয়েন্টির পর ৫০ ওভারের ফরম্যাটেও শান্তর অফফর্ম নিয়ে সমালোচকরা সরব। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শেষ চার ম্যাচে শান্ত ব্যাট হাতে জবাবও দিতে পারেননি। চার ইনিংসে করেন মোটে ৮৮ রান ( ২০, ৯, ৩৭, ১২)।

Advertisement

তবে আজ মঙ্গলবার ঠিকই জ্বলে উঠেছে শান্তর ব্যাট। ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে যেন জানিয়ে দিলেন, ‘আমি পারি। এখনো ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখি আমি।’

বিকেএসপি ৩ নম্বর মাঠে মঙ্গলবার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে শান্তর দায়িত্বশীল সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটের দারুণ জয় পেয়েছে আবাহনী। সেই সাফল্যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে শান্ত হয়েছেন ম্যাচসেরাও।

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে আজকের জয়ে আবাহনী দারুণ লাভবান হলো। ৬ খেলায় ৫ জয়ে এখন পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে দলটি। সমান খেলায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের এটা তৃতীয় পরাজয়। তাতে করে লিগ টেবিলে অবস্থার অবনমন ঘটলো আকবর আলীর দলের। যদিও ৬ খেলায় আবাহনীর সমান ৫ জয়ে গাজী গ্রুপ ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট সংগ্রহে যৌথভাবে শীর্ষে। তবে নেট রানরেটে আবাহনী এক নম্বর। আবাহনীর নেট রানরেট ১.৫১৮, গাজী গ্রুপের ১.২৩৯। লক্ষ্য অনেক বড় ছিল। জিততে আবাহনীর দরকার ছিল ২৯৩ রান। শুরু ভালো হয়নি একদমই। ইনফর্ম ওপেনার পারভেজ ইমন ফিরে যান ০ রানে। কিন্তু জিসান আলম আর অধিনায়ক নাজমুল শান্ত দ্বিতীয় উইকেটে ১০৭ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে দেন।

Advertisement

জিসান আলম ৪৬ বলে ৪৩ রানে আউট হলেও শান্ত আরও অনেকটা সময় একপ্রান্ত ধরে লড়াই করেন। ১০৮ বলে এক ডজন বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ১০১ রানের ইনিংস শেষে শান্ত সাজঘরে ফিরলেও জিততে সমস্যা হয়নি দলের। মুুমিনুল হক, মাহফুজুর রহমান রাব্বিরা ফিনিশিং টাচ দেন। শেষ দিকে অভিজ্ঞ মুমিনুল ৩৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দল জিতিয়ে সাজঘরে ফেরেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৫০ ওভারে ২৯২/৬ (তানজিম হাসান তামিম ২৪, সাইফ হাসান ৬৭, সৌম্য সরকার ২৭, মাহমুদুল হাসান জয় ৫৮, আফিফ হোসেন ধ্রুব ২৬, জাকের আলী অনিক ৩৫*, আকবর আলী ১২, শেখ মেহেদী ২৮*; নাহিদ রানা ২/৭১, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ২/৫৭, মেহরুব ১/১৪, রাকিবুল ১/৪৫)। আবাহনী: ৪৮.৪ ওভারে ২৯৩/৬ (জিসান আলম ৪৩, পারভেজ ইমন ০, নাজমুল হোসেন শান্ত ১০১ , মিঠুন ৩৪, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১৯, মুমিনুল হক ৩৫*, মেহরুব ১৮, মাহফুজুর রাব্বি ৩১*; শরিফুল ইসলাম ২/৩৭, শেখ মেহেদী ২/৫৩)।

ফল: আবাহনী ৪ উইকেটে জয়ী।

এআরবি/এমএমআর/এমএস

Advertisement