জাতীয়

সরকার চাইলে আমরা যে কোনো সময় নির্বাচন করতে প্রস্তুত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে সব চেয়ে সামনে রয়েছে ছবিসহ একটি স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি। যদিও আগামী জুনের মধ্যে তা সমাপ্ত হবে। এর পর আসে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ। ২০০৮ সালের পূর্বে সংসদীয় আসনের যে সীমানায় নির্বাচন হয়েছে, সেই সীমানায় ফিরে যাওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে আসছে বিএনপি। নির্বাচনের জন্য ২০০৮ সালের সীমানার কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। এর পর রয়েছে ভোটের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা। তা যে কোনো সময় সম্পন্ন করতে পারবে ইসি। এই নির্বাচনের জন্য সরকার চাইলে যে কোনো সময় ইসি প্রস্তুত আছে বলে জানা গেছে।

Advertisement

সরকার চাইলে কবে নাগাদ জাতীয় নির্বাচন করতে পারবে ইসি? এই প্রসঙ্গে সোমবার (১৭ মার্চ) জাগো নিউজকে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, সরকার চাইলে আমরা যে কোনো সময় জাতীয় নির্বাচন করতে প্রস্তুত। আমাদের বড় কাজ হচ্ছে একটা স্বচ্ছ ভোটার তালিকা যা আসন্ন জুনে সম্পন্ন হবে। এছাড়া বাকি কাজগুলো করতে ইসির বেশি সময় লাগবে না। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনের জন্য ইসির অনেক প্রস্তুতি আগে থেকেই রয়েছে।

ইসি জানায়, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন দেওয়ার মতো কাজগুলো করে থাকে ইসি। নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য ইসি এরই মধ্যেই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে।

ইসি সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচনের জন্য সাধারণত দেড় মাস আগে তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তফসিল ঘোষণার পরই কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে ইসি। কাজগুলো হলো-ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ।

Advertisement

গত চার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেখা গেছে, নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইসি নিজে নির্বাচনী আইনবিধি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর প্রস্তাব করেছিল। নির্বাচনের আগে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপও আয়োজন করা হয়েছিল। নির্বাচনের দুই-এক বছর আগে থেকেই কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করে শুরু করা হয়েছিল প্রস্তুতিমূলক কাজ।

এমওএস/এমআইএইচএস/এমএস