বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মাননীয় ফেলো প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতাতে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রভাব পড়বে।
Advertisement
‘তাই বাজার সুবিধানির্ভর প্রতিযোগিতা সক্ষমতা থেকে আমাদের দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা নির্ভর প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় উত্তরণ করতে হবে।’
রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডি সিপিডি কার্যালয়ে ‘২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট: সিপিডির সুপারিশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশ করা হয়।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। উপস্থিত ছিলেন গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমসহ আরও অনেকে।
Advertisement
ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হলে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের যে ব্যবসা পরিবেশ তার ওপরে একটা প্রভাব পড়বে। আমাদের ইউরোপীয় ইউনিয়নে ১২ শতাংশ শুল্ক দিতে হয় না, কানাডাতে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয় না। এছাড়া অন্যান্য যেসব দেশে আমরা শুল্ক সুবিধা পাই সেটা পাবো না।
১৯৭৫ সালে আমরা স্বল্পোন্নত দেশে ঢুকেছি এরপর পঞ্চাশ বছর সেটা সুবিধা আমরা নিয়েছি। কিন্তু এখন এর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার শক্তিমত্তা আমাদের হয়েছে। এখন আমাদের ব্যক্তি ঘাতকে আমরা কীভাবে সহায়তা করতে পারি। তারা যে শুল্ক সুবিধা চান তার কারণ অন্যান্য জায়গায় তাদের খরচ বাড়ে, তিনি বলেন।
ব্যক্তি খাতকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের সহায়তা করতে হবে। এটি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের একটি স্ট্র্যাটিজি আছে স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্র্যাটেজি (এসটিএস)। সেখানে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপের কথা বলা আছে। এটিকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, অনেক বিষয়েই উদ্যোগ নেওয়া হয়নি যেমন একটি স্বাধীন তথ্য কমিশন করার কথা অনেক দিন ধরে আলোচনা হচ্ছে। এছাড়া পরিসংখ্যান ব্যুরোর স্বতন্ত্রতা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা এবং স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, সুপ্রতিষ্ঠিত করা এবং এটার জন্য উদ্যোগ নেওয়ার উদ্যম দেখছি না। আশা করি এটা করা হবে।
Advertisement
এসআরএস/এমআরএম