৭০ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে। এরপর ৭২ ও ৭৮ মিনিটে দুই গোল দিয়ে সমতায় ফিরেছিলো বার্সেলোনা। খেলাও প্রায় শেষ মুহূর্তে। ইনজুরি সময়ে প্রবেশ করে ফেলেছে। ম্যাচ ২-২।
Advertisement
এমন সময়ই ম্যাজিক দেখাতে শুরু করে বার্সেলোনার তরুণরা। লামিনে ইয়ামাল এবং ফেরান তোরেস- এ দু’জন ইনজুরি সময়ে করে বসলেন আরও দুই গোল। শেষ মুহূর্তের এই ম্যাজিকে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠ থেকে ২-৪ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে ফিরে এসেছে বার্সেলোনা।
এই জয়ে একদিনের ব্যবধানে আবারও শীর্ষে ফিরে আসলো বার্সা। ২৭ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট এখন কাতালানদের। ২৮ ম্যাচে যদিও পয়েন্ট সমান রিয়াল মাদ্রিদের। তবে, গোল ব্যবধানে এগিয়ে বার্সা। আবার হাতে আছে একটি ম্যাচ বাকি। ২৮ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়লো অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ।
প্রথমার্ধের প্রয়ো পুরোটা সময় কোনো দলই গোল করতে পারেনি। একেবারে শেষ মুহূর্তে, ৪৫তম মিনিটে গিয়ে প্রথম বার্সেলোনার গোলের তালা খোলেন হুলিয়ান আলভারেজ। এগিয়ে দেন অ্যাতলেতিকোকে।
Advertisement
দ্বিতীয়ার্ধে গিয়েও গোল পরিশোধের কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারছিলো না বার্সা। উল্টো ৭০ মিনিটে আরও একটি গোল দিয়ে বসে অ্যাতলেতিকো। আলেকজান্ডার সোরলথ গোল করে নিজের দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন।
৭২তম মিনিটে এসে অ্যাতলেতিকোর জাল খুঁজে পায় বার্সা। রবার্ট লেওয়ানডস্কির দুর্দান্ত গোলে ২-১ করে বার্সা। এরপর ৭৮তম মিনিটে নিজের প্রথম গোল করে বার্সাকে সমতায় ফেরান ফেরান তোরেস। দানি ওলমোর পরিবর্তে ৬৭তম মিনিটে মাঠে নেমেছিলেন তোরেস। ইনজুরি সময় শুরু হওয়ার পরই (৯০+২ মিনিট) বার্সাকে এগিয়ে দেয়া প্রথম গোল করেন লামিনে ইয়ামাল।
৯০+৮ মিনিটে বার্সার চতুর্থ এবং নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ফেরান তোরেস। ৪-২ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর আর ফিরে আসা সম্ভব ছিল না অ্যাতলেতিকোর পক্ষে। কারণ, ততক্ষণে সময় শেষ।
আইএইচএস/
Advertisement