বিগত ১৫ বছরে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের চিহ্নিত করতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে জুলাই বিপ্লব বিরোধী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করতে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Advertisement
রোববার (১৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক সই করা পৃথক দুটি অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।
শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিপ্লব বিরোধী ভূমিকা চিহ্নিতকরণে আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার হোসেনকে আহ্বায়ক ও বিএনসিসি অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান মজুমদারকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাকি তিন সদস্য হলেন আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিন্নাতুল করিম। তাদের ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে উপাচার্য বরাবর প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিগত ১৫ বছরের নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের চিহ্নিতকরণে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফারুকুজ্জামান খানকে আহ্বায়ক ও শরীর চর্চা ও শিক্ষা বিভাগের উপ-রেজিস্ট্রার মাছুদুল হক তালুকদারকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশিদুজ্জামান এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী। তাদের ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে উপাচার্য বরাবর প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
Advertisement
নিয়োগে দুর্নীতি তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান বলেন, ‘চিঠি হাতে পেয়েছি। আমরা তদন্তকাজ শুরু করেছি। কারও কাছে দুর্নীতির কোনো তথ্য থাকলে অনলাইনে বা অফলাইনে জমা দেওয়ার আহ্বান থাকবে।
এসআর/জেআইএম