বিদেশে পাঠানোর কথা বলে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আজহার আলী (রাজ) নামে এক ইতালি প্রবাসীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় একাধিকবার গ্রাম্য সালিস ও আদালতে মামলা দিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা।
Advertisement
রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে জামালপুর সদর উপজেলার ঝাওলা গ্রামের ভুক্তভোগীরা প্রতারণার বিষয় তুলে ধরেন।
স্থানীয়রা জানান, ঝাওলা গ্রামের মৃত জামাল হোসেনের ছেলে আজহার আলী দীর্ঘদিন ধরে ইতালি থাকেন। এই সুযোগে তিনি একই গ্রামের রুবেলকে ইতালি নেওয়ার কথা বলে ৩৭ লাখ টাকা নেন। এছাড়া পার্শ্ববর্তী বৈঠামারী গ্রামের নূর মোহাম্মদের কাছ থেকে নেন ১৮ লাখ টাকা। ঝাওলা গ্রামের শফিককে ইতালি নেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ৭ লাখ, ঝিগারতলা গ্রামের মোশাররফের কাছ থেকে ১১ লাখ ও কোটের টির্কি গ্রামের বাবুল এর কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা নেন। এভাবে বাঁশচড়া ইউনিয়নের প্রায় ৩০-৩৫ জনের কাছ থেকে কোটি টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এতগুলো মানুষের কাউকেই বিদেশ না নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন আজহার আলী।
স্থানীয় রাজ মাহমুদ বলেন, আজহার আলী একজন প্রতারক। তিনি দীর্ঘদিন ইতালি থাকতেন। সেখান থেকে বাংলাদেশে এসে আমাদের ঝাওলা গ্রামের সহজ-সরল তরুণদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশ পালিয়ে গেছেন। এখন আমাদের কারো সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেন না।
Advertisement
একই গ্রামের মো. রুবেল বলেন, ইতালি নেওয়ার কথা বলে আজহার আমাদের লাখ লাখ টাকা নিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। আমি আমার কৃষি জমি ও ট্রাক বিক্রি করে টাকাগুলো দিয়েছিলাম। আমাকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছেন এই আজহার। আমি এখন পথের ফকির হয়ে গেছি। এখন তার পরিবারের কাছে টাকা চাইতে গেলে উল্টো হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী নূর মোহাম্মদ বলেন, ইতালি নেবে বলে আমার বাড়িঘর ও কৃষি জমি বিক্রি করিয়ে ১৮ লাখ টাকা নেন। এখন টাকাও ফেরত দেয় না, বিদেশেও নেয় না। টাকার চিন্তায় আমি দুবার স্ট্রোক করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে একাধিকবার ফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি আজহার আলীকে। তার গ্রামের বাড়ি গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রুবেল ও আশিক আহমেদসহ একাধিক ব্যক্তি জামালপুর আদালতে মামলা করেছেন। মামলা বিচারাধীন।
Advertisement
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাজেদুল ইসলাম বলেন, আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছে।
জেডএইচ/জেআইএম