রংপুরের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেত্রী লিপি খান ভরসাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার গুলশানে একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
Advertisement
গ্রেফতার লিপি খান ভরসা রংপুরের ভরসা পরিবারের পুত্রবধূ। তিনি এসএল ভরসা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সেরা করদাতা। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টাসহ আন্দোলন দমনে অর্থ যোগান দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সবশেষ ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন লিপি খান। তিনি প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য টিপু মুনশির নির্বাচনী সভা-সমাবেশে অংশ নেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড় থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা একটি মিছিল নিয়ে সিটি বাজারের সামনে অবস্থান নেন। এসময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর গুলি চালান। এতে অনেকেই আহত হন। এ ঘটনায় গত বছরের ১৩ নভেম্বর মহানগরীর কোতোয়ালি থানায় গুলিবিদ্ধ মামুনুর রশিদ মামুন হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। লিপি খান এ মামলার এজাহারভুক্ত ১৭৯ নম্বর আসামি।
Advertisement
এরআগে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক (সদ্য প্রত্যাহার) উপকমিশনার মোহাম্মদ শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা ঘুস দাবির অভিযোগ তোলেন লিপি খান।
তার দাবি, ছাত্র আন্দোলনের মামলা থেকে নাম বাদ দিয়ে তাকে সুরক্ষা দিতে মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক অমিত বণিকের মাধ্যমে তার কাছে ১০ লাখ টাকা ঘুস চান শিবলী কায়সার। এ ঘটনায় ১১ মার্চ শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে পুলিশ সদরদপ্তর, মহানগর পুলিশ কমিশনার ও সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করেন তিনি।
এরপর ১৩ মার্চ বিকেলে শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে মামলা করতে লিপি খান ভরসা তার ম্যানেজার পলাশ হাসানকে কোতোয়ালি থানায় পাঠান। এসময় পলাশকে থানার ভেতরেই বেধড়ক মারধর করেন শিবলী কায়সার। এ ঘটনায় শনিবার (১৫ মার্চ) তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদপ্তরে নেওয়া হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি লিপি খান ভরসাকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে রংপুরে এনে আদালতে তোলা হবে।
Advertisement
জিতু কবীর/জেডএইচ/জেআইএম