বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন দেশের ওপর বিভিন্নভাবে কর বসাচ্ছে। এই শুল্কযুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক যে প্রবৃদ্ধি তার ওপর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধির ওপরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রেও মূল্যস্ফীতি হবে এবং সাধারণ জনগণের যে চাহিদা সেটিও কমবে। ফলে আমরা যারা মার্কিন বাজারে রপ্তানি করছি সেখানেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ফলে আমাদের যে রপ্তানির সুযোগ, সেটিও কিছুটা সীমিত এবং স্তিমিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
Advertisement
রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট: সিপিডির সুপারিশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশ করা হয়।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমসহ আরও অনেকে।
ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০১৬ সালে যখন প্রথমবারের মতো ট্রাম্প আসলেন তখন তিনি চায়নার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। এটি বাইডেন সরকার বহাল রাখেন। এখন তার ওপর আরও ১০ শতাংশ কর যোগ করা হয়েছে। অনেকে মনে করছেন এর কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে বা চায়নার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে ২০১৬ এর পর চায়নার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি কিন্তু কমেও গিয়েছে, যা এই বছর আবার বেড়েছে। তাই এর কারণে সরাসরি আমাদের কোনো উপকার হবে, এটা আমি মনে করি না।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের ৯৩ শতাংশ রপ্তানি পণ্য হচ্ছে তৈরি পোশাক। যুক্তরাষ্ট্রে যে তৈরি পোশাক চায়না রপ্তানি করে, তার বেশিরভাগই হচ্ছে মেনমেইড ফাইবার তথা নন-কটন। কিন্তু বাংলাদেশ যা রপ্তানি করে তার মোটামুটি পুরোটাই হচ্ছে কটন ভিত্তিক। তৈরি পোশাকের মধ্যে যে বৈচিত্র্য সেটিকে মাথায় রাখতে হবে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো বলেন, এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কানাডার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। এটা হলে সারা বিশ্বের জন্য এবং বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু নিয়ে আসবে বলে মনে করি।
এসআরএস/এএমএ
Advertisement