দেখতে দেখতে শেষ প্রান্তে রোজা। আর মাত্র দিন-দশেক পরেই ঈদ আনন্দে মেতে উঠবেন সবাই। এরই মধ্যে কাজের ফাঁকে ফাঁকে পরিবার ও প্রিয়জনের জন্য কেনাকাটা করে ব্যস্ত সময় পার করছেন নগরবাসী। অন্য সময় ভিড় কম থাকলেও ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর প্রায় সব শপিংমলেই বেড়েছে ভিড়। তবে এখনো জমে উঠেনি বাড্ডায় অবস্থিত শপিংমলগুলো। অনেকটাই যেন নিষ্প্রাণ।
Advertisement
১৬ মার্চ বাড্ডার বেশ কয়েকটি শপিংমল ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা এমনটাই জানা গেছে। তবে সুবাস্তু নজর ভ্যালি শপিংমল, কনফিডেন্স সেন্টার ও লুৎফুন শপিং কমপ্লেক্সে কিছুটা ভিড় দেখা গেলেও অনেকটাই নিষ্প্রাণ হল্যান্ড সেন্টার শপিং কমপ্লেক্স।
হল্যান্ড সেন্টার শপিং কমপ্লেক্স বছরের প্রায় সব সময় থাকে প্রাণহীন। দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনার আগে বেশ জমজমাট ছিল এই মার্কেট। করোনার দাবায় সব যেন নিমিষেই হারিয়ে গেছে। মহামারির সময় অনেকেই বাধ্য দোকান ছেড়ে দিয়েছেন। আবার ব্যবসায় লোকসানের ফলে পথে বসেছেন অনেকে। করোনায় হওয়া ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি এখানকার ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন:
Advertisement
হল্যান্ড সেন্টার শপিং কমপ্লেক্সে প্রায় সব পণ্যর দোকান রয়েছে। রয়েছে বেস্ট বাই, উইনার, পোশাকের দোকান, ছোটদের পোশাকের বাহারি সব কালেকশন। এছাড়া রয়েছে জুতা, ইলেকট্রনিক্স, সাইকেল, গোল্ড, কসমেটিকসসহ প্রায় সব ধরণের পণ্য। এতকিছু থাকার পরও বেচাকেনা নেই বললেই চলে।
ইভানা ফ্যাশন হাউজের মালিক বলেন, সকাল থেকে এখনো কোনো ক্রেতা আসেনি। আশা করছি সন্ধ্যার পর কিছু ক্রেতা আসবেন। আগের মতো বেচাকেনা নেই। ঈদের মৌসুমেও অলস সময় পার করতে হচ্ছে।
মার্কেটের প্রায় সব দোকানই ফাঁকা। কোথাও কোন ভিড় নেই। নেই কোনো ব্যস্ততা। বাটা শোরুমের এক বিক্রেতা বলেন, আমাদের শোরুমটি কিছুদিন হলো চালু করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে অন্যান্য শোরুমে বেচাকেনা বেড়েছে দ্বিগুণ। তবে এই শোরুমে সারাদিনেও ক্রেতার দেখা পাওয়া যায় না। আশা করছি ঈদের আগে ক্রেতারা আসতে পারেন।
ফাঁকা কোকারিজসহ অন্য সব পণ্যর দোকানও। প্রায় সব দোকানিই অলস সময় পার করছেন। আবার অনেকে নিজের দোকান ফেলে পাশের দোকানির সঙ্গে গল্প করে সময় পার করছেন।
Advertisement
এই মার্কেটের সব দোকান ফাঁকা হলেও কিছু ভিড় দেখা গেছে পোশাকের দোকানে। বিশেষ করে বাচ্চাদের কাপড়ের দোকানেই ভিড় একটু বেশি। এছাড়া কমবেশি বেচাকেনা হচ্ছে থান কাপড়, থ্রি-পিস ও শাড়িও।
জেএস/এমএস