শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে চায়ের দোকানে বিতর্কে আওয়ামী লীগ কর্মী ইমরানের গুলিতে বিএনপি কর্মী আজগর হোসেন (২৫) আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, ২ রাউন্ড তাজা গুলি ও ১ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে।
Advertisement
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে চৌগাছা উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের একটি চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আজগর ফুলসারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের বিএনপি নেতা আব্বাস আলীর ছেলে। ইমরান একই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালামের ছেলে।
আহতের ফুফাতো ভাই বিপুল হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার দেশে ফেরা না ফেরা নিয়ে সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য কবীর হোসেনের বাবা আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেনের সঙ্গে বিএনপি কর্মী ওলিয়ার রহমান এবং গুলিবিদ্ধ আজগরের বাবা ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আব্বাস আলীর বিতর্ক হয়। এ নিয়ে সন্ধ্যায় গ্রামের পণ্ডিত মোড়ে ইউপি সদস্য কবীর হোসেনের চাচাতো ভাই (আলতাফের ভাতিজা) শিপন আমাকে হুমকি দেয় ও আব্বাস-ওলিয়ারদের খুঁজতে থাকে। তখন আমি পণ্ডিত মোড় থেকে চলে যাই।
Advertisement
পরে তারাবির নামাজের আগ দিয়ে গ্রামের মুদি দোকানের সামনে মামাতো ভাই আজগরসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এসময় আলতাফ হোসেনের আরেক ভাতিজা ইমরান পিস্তল উঁচিয়ে আমার (বিপুল) দিকে গুলি ছোড়ে। আমি সরে গেলে গুলি পাশে থাকা আজগরের পায়ে বিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা ইমরানকে আটক করে মারপিট করে এবং পুলিশে খবর দেয়। তবে এরইমধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা চিকিৎসা দেওয়ার নাম করে ইমরানকে নিয়ে সরে পড়ে। পুলিশ এসে গুলিবিদ্ধ আজগরকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড গুলি ও এক রাউন্ড ব্যবহৃত গুলির খোসাসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ আজগরকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে তার বাবা যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। তিনি ফিরে এজাহার দায়ের করবেন। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।
মিলন রহমান/এফএ/এমএস
Advertisement