জাতীয়

সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ ফের বাড়ল

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ বাড়লো।

Advertisement

তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরও দু’মাস (৬০ দিন) বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ দু’মাস (৬০ দিন) বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে শুক্রবার (১৪ মার্চ)।

মেয়াদ বাড়ানোর আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারাসহ) ‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’ এর ১২(১) ও ১৭ ধারা অনুযায়ী স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।

Advertisement

এর মেয়াদ হবে ১৫ মার্চ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত। সারাদেশে তারা এ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‌‘ফৌজদারী কার্যবিধির, ১৮৯৮’ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন।

আরও পড়ুন সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ বাড়লো সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ ফের বাড়লো

প্রথমে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড অফিসার (সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও এর ওপরের সমপদমর্যাদার কর্মকর্তা) এ ক্ষমতা দেওয়া হয়। অর্থাৎ শুধু সেনাবাহিনী নয় বিমান ও নৌবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদেরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। তখন ৬০ দিনের জন্য এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। সেই মেয়াদ নভেম্বরের মাঝামাঝি শেষ হয়েছিল। পরে সেই ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানো হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন চরম আকার ধারণ করলে গত ১৯ জুলাই কারফিউ জারি করে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে। আন্দোলন ঘিরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে অনেক পুলিশ সদস্যও হতাহত হন। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা, লুট করা হয় অস্ত্র। ৫ আগস্টের পর থানা ছেড়ে কর্মবিরতিতে যায় সারা দেশের পুলিশ। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে।

Advertisement

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। তাই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতার মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানো হলো বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

আরএমএম/এমআরএম/জেআইএম