জেমকন গ্রুপের মালিক যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, বাবা মৃত কাজী শাহেদ আহমেদ, মা আমিনা আহমেদ, দুই ভাই কাজী আনিস আহমেদ, কাজী ইনাম ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ৩৬টি কোম্পানির ৪ কোটি ২৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৮টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব শেয়ারের অভিহিত মূল্য ৬০ কোটি ৪৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুদকের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
অবরুদ্ধ কোম্পানির মধ্যে, ক্যাস্টল কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকার ১১৮০টি শেয়ার, জেমকন লিমিটেডের ৫০ লাখ টাকার ৫ লাখ শেয়ার, চার্কা এসপিসি পলিশ লিমিটেডের ৪৫ লাখ টাকার ৪ হাজার ৫০০ শেয়ার, কাজী অ্যান্ড কাজী টি স্টেট লিমিটেডের ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ৪৭ হাজার ৫০০ শেয়ার, চার্কা স্টিল লিমিটেডের ২ কোটি টাকার ২০ হাজার শেয়ার, করোতোয়া টি স্টেট লিমিটেডের ১ কোটি টাকার ১০ হাজার শেয়ার, রওশনপুর টি ফ্রন্টিয়ার লিমিটেডের ১ কোটি টাকার ১০ হাজার শেয়ার, জেমকন টি স্টেট লিমিটেডের ১ কোটি টাকার ১০ হাজার শেয়ার, পাথার লিমিটেডের ২ কোটি ৭০ লাখ টাকার ২৭ হাজার শেয়ার, জেমকন ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল প্রডাক্টস লিমিটেডের ১ কোটি ৯০ লাখ টাকার ১৯ হাজার শেয়ার, জেমকন সিটি লিমিটেডের ১ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকার ২৩ হাজার ২৫০ টি শেয়ার, জেম জুট লিমিটেডের ২০ কোটি টাকার ২ কোটি শেয়ার, বেঙ্গল হারবাল গার্ডেন লিমিটেডের ২০ লাখ টাকার ২ হাজার শেয়ার, জেমকন সি ফুড লিমিটেডের ২০ লাখ টাকার ২০ হাজার শেয়ার, মিনা সুইটস অ্যান্ড কনফেকশনারি লিমিটেডের ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার ১৫ লাখ শেয়ার ও মিনা রিটেইলস লিমিটেডের ১ কোটি টাকার ১০ লাখ শেয়ার রয়েছে।
Advertisement
এছাড়াও আজকের কাগজের ১০ লাখ টাকার ১ হাজার শেয়ার, খবরের কাগজের ৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকার ৪৩৮ শেয়ার, জেমকন স্পোর্টস লিমিটেডের ৬ কোটি টাকার ৬ লাখ শেয়ার, জেমিনি এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ৩০ লাখ টাকার ৩ লাখ শেয়ার, জেম গ্লোবাল ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন লিমিটেডের ৩০ লাখ টাকার ৩ লাখ শেয়ার, জেমকন রিনিউভাল এনার্জি টেকনোলজি লিমিটেডের ৩০ লাখ টাকার ৩ লাখ শেয়ার, বাংলা ট্রিবিউনের ১৫ লাখ টাকার সব শেয়ার, পাপায়ার্স কমিউনিকেশন লিমিটেডের ৬ লাখ টাকার ৬ হাজার শেয়ার, ক্যাস্টল ইউনিভার্সাল কোম্পানি লিমিটেডের ১ কোটি টাকার ১০ লাখ শেয়ার, মীনা অ্যাডভান্স রিটেইলস ট্রেডিং লিমিটেডের ৩ কোটি টাকার ৩০ লাখ শেয়ার, পাপায়ার্স ডিজিকম লিমিটেডের ৬০ লাখ টাকার ৬ লাখ শেয়ার, মীনা ক্লিক লিমিটেডের ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার ১৫ লাখ শেয়ার, জেমকন এগ্রো লিমিটেডের ৪ লাখ টাকার ৪০ লাখ টাকার ৪ লাখ শেয়ার, জেমকন কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ১ কোটি টাকার ১০ লাখ শেয়ার, জেমকন ব্রিডগার লিমিটেডের ১ কোটি টাকার ১০ লাখ শেয়ার, জেমকন হাইওয়েজ অ্যান্ড রোডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ১ কোটি টাকার ১০ লাখ শেয়ার, জেমকন কানেক্টেভিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ১ কোটি টাকার ১০ লাখ শেয়ার, জেমকন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ১ কোটি টাকার ১০ লাখ শেয়ার ও অর্গানিক লিমিটেডের ১ কোটি টাকার ১০ লাখ শেয়ার রয়েছে।
দুদকের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম এসব শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন। আবেদেন তিনি বলেন, অনুসন্ধানকালে দেখা যায় যে, জেমকন গ্রুপের মালিকপক্ষ কাজী নাবিল আহমেদ, কাজী আনিস আহমেদ, কাজী ইনাম আহমেদ, মৃত কাজী শাহেদ আহমেদ, আমিনা আহমেদ এবং অন্যান্য স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের, তাদের বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৪ কোটি ২৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৮টি শেয়ার যার অভিহিত মূল্য ৬০ কোটি ৪৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা, যা অভিযুক্তরা হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। যা করতে পারলে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। এসব শেয়ারসমূহ থেকে উদ্ভূত সব মুনাফা অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জেমকন গ্রুপের নাবিল আহমেদসহ তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
এমআইএন/জেএইচ/জেআইএম
Advertisement