আইন-আদালত

গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা পাচ্ছেন প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা

সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব প্রধান শিক্ষক দশম গ্রেডে দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা পাবেন বলে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে এই মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন তারা। এতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মর্যাদা পাবেন।

Advertisement

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ রায় দেন।

হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগ এই রায় দেন। আপিল বিভাগে শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন।

এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেড পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে আদেশ কার্যকর করতে বলা হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন এমপিওভুক্ত হচ্ছেন স্কুল-কলেজের আরও ১৪৮৭ শিক্ষক-কর্মচারী বেসরকারি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি-সদস্যদের সম্মানী বন্ধ নন-এমপিও শিক্ষকদের দাবি মেনে নিলো সরকার, আন্দোলন স্থগিত বিএড-উচ্চতর স্কেল পাচ্ছেন বেসরকারি স্কুল-কলেজের ২৭০৪ শিক্ষক

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন সাংবাদিকদের তখন বলেছিলেন, বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও তারা বেতন পান ১১ ও ১২তম গ্রেডে। অথচ দ্বিতীয় শ্রেণির অন্য সব চাকরিজীবী দশম গ্রেডে বেতন পান। নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা জাতীয় বেতন কাঠামোর দশম স্কেলে বেতন পান। ফলে সরকারি প্রধান শিক্ষকদের মর্যাদা দিলেও তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল।

২০১৪ সালের ৯ মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দেয় সরকার। ওই দিনই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১ ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করে।

এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতিসহ প্রধান শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন করে আসছিল। পরে ১১ ও ১২তম গ্রেড নির্ধারণের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ৪ মার্চ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ সংক্ষুব্ধ ৪৫ শিক্ষক।

Advertisement

এফএইচ/বিএ/এএসএম