জাতীয়

চলছে স্ট্যান্ড ফর এনআইডি কর্মসূচি, বন্ধ সব ধরনের সেবা

স্ট্যান্ড ফর এনআইডি কর্মসূচি পালন করছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শুরু হওয়া কর্মসূচি চলবে ১টা পর্যন্ত। সারাদেশে ইসির কর্মীরা অফিসের বাইরে এ কর্মসূচি পালন করছেন। কর্মবিরতি ঘোষণা না করলেও অফিসের বাইরে মানববন্ধনে থাকায় দুই ঘণ্টা নাগরিকদের এনআইডি সেবা বন্ধ থাকছে।

Advertisement

জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনে রাখার দাবিতে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় বুধবার।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা ১১টা থেকে ইসির কর্মীরা অফিসের সামনে মানববন্ধন শুরু করেছেন।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) এর মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মতিয়ুর রহমান, আশরাফ হোসেন, মো. হাসানুজ্জামান, সাইফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনে এনআইডি রাখা আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড নয়

ইসির কর্মকর্তারা জানান, ভোটার তালিকা ও এনআইডি একসঙ্গে নির্বাচন কমিশনে রাখার পক্ষে ইসির পূর্বের সংলাপগুলোতে অংশীজনরা মতামত দিয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালে একটি আইন করে শুধু এনআইডি সেবা সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেওয়ার চেষ্টা হয়। অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যমান আইনটি বাতিল করে এনআইডি ইসির অধীনেই রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে দেখা যাচ্ছে, আলাদা করে একটি কমিশন বানিয়ে এনআইডি তার অধীনে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলো। এনআইডি ইসির অধীনে থাকবে, এটি যৌক্তিক দাবি। এনআইডি ইসির অধীনে না থাকলে নাগরিক সেবা বাধাগ্রস্ত হবে, এমন উদ্বেগ যৌক্তিক। এনআইডি আলাদা হলে নির্বাচন ব্যবস্থাই বাধাগ্রস্ত হবে। তারা আরও বলছেন, এনআইডি এমনভাবে জন্ম হয়েছে যে এটা কমিশন থেকে আলাদা করার মতো নয়। ডাটাবেজ একটা। কোনো প্রতিষ্ঠান এনআইডি নিতে হলে ভোটার তালিকাও নিতে হবে। এনআইডি নিলে ভোটার তালিকা ব্যাহত হবে। এনআইডি চলে গেলে ভোটার তালিকায় ভাটা পড়বে। এনআইডির জন্ম হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। সুতরাং এটি এখানেই থাকা দরকার।

এমওএস/এমএইচআর/এএসএম