পটুয়াখালীতে বিএনপির চাঁদাবাজির ফিরিস্তি তুলে ধরে বক্তব্য দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পটুয়াখালী জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মহসিন। সম্প্রতি পটুয়াখালী শহরের শের-ই-বাংলা সড়কে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বাসভবনে তার উপস্থিতিতে মো. মহসিন এ বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যটি ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ের হলেও সুনির্দিষ্ট করে তারিখ জানা যায়নি।
Advertisement
জাগো নিউজের হাতে আশা ভিডিওতে দেখা যায়, অ্যাডভোকেট মহসিন তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা যারা আলতাফ হোসেন চৌধুরীর সাপোর্টার ছিলাম আমরা বাসস্ট্যান্ড দখল করতে যাই নাই, আমরা চক্ষু হাসপাতাল দখল করতে যাই নাই, সদরঘাট দখল করতে যাই নাই। লাউকাঠী খেয়াঘাট দখল করে এক মহিলাদল নেত্রী এক রাত্রেই কামাই করছেন দশ লাখ টাকা। এই পটুয়াখালীতেই বাজার আছে নিউ মার্কেট, পুরান বাজার, পায়রাকুঞ্জ, ফেরিঘাট, পটুয়াখালী ফেরিঘাটসহ প্রত্যেকটা খেয়াঘাট। আমি হিসাব করে এক নেতাকে দিয়েছি। দৈনিক ৬০ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদাবাজি হয়।’
তিনি বলেন, ‘দখলবাজি কীভাবে হয়েছে তার একটা তথ্য দেই; বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ পাশে এক আওয়ামী লীগের এমপির টাইলসের দোকান আছে, শাহজাদা এমপি, আমি নামও বলে দিলাম। সেখান থেকেই চাঁদাবাজি করা হয়েছে মাত্র ৫ কোটি টাকা। সেই চাঁদাবাজি কিন্তু আলতাফ হোসেন চৌধুরীর কোনো নেতাকর্মী করে নাই। আজকের এই সভা থেকে অতি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আওয়ার ডিয়ার গ্রেট লিডার মি. তারেক রহমান সাহেবকে অনুরোধ করবো আপনি একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি করেন। সেই তদন্ত কমিটি পটুয়াখালী জেলায় তথাকথিত বিএনপি নেতারা কী পরিমাণ চাঁদাবাজি করেছে, টেন্ডারবাজি করেছে তা তদন্ত করে দেখুক। সেই কমিটির তথ্যে যদি আমাদের নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরীর নেতা-কর্মীরা কেউ জড়িত থাকে তাহলে আর কোনোদিন রাজনীতি করবো না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেন,‘বক্তব্যটি অনেক আগের, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এ ধরনের বক্তব্য দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে।’
Advertisement
আব্দুস সালাম আরিফ/এফএ/জিকেএস