স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ মোট ৯ দাবিতে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে সময় আন্দোলনকারীদের হামলায় আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।
Advertisement
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
আরও পড়ুন
ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রায় সংঘর্ষ নিয়ে যা বললো পুলিশ‘নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে’মাসুদ আলম বলেন, তারা (আন্দোলনকারীরা) আমাদের সিনিয়রদের গায়ে যেহেতু হাত তুলেছে, সেহেতু আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিব। এখনও তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। তবে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
Advertisement
পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ মোট ৯ দাবিতে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করে। এসময় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের কাছে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রার চেষ্টা করলে হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
পরে এ ঘটনায় রাতে ‘ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার নামে পুলিশের উপর আক্রমণ’ শীর্ষক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এর প্রতিক্রিয়া জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি তালেবুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেল অনুমানিক ৩ টা ৩৫ মিনিটের দিকে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রা নামে নারী-পুরুষসহ ৬০/৭০ জনের একটি বিক্ষোভকারী দল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে বাধা দেয়। এসময় ওই পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন। নিকটবর্তী স্থানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করলে তারা উল্টো পুলিশের উপর চড়াও হয়ে উদ্ধত ও মারমুখী আচরণ আরম্ভ করেন। এ সময় বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নারীদের নখের আঁচড়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তিতে লিপ্ত হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালান। এসময় তাদের হামলায় রমনা জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন গুরুতর আহত হন। এছাড়া হামলাকারীদের আঘাতে রমনা ডিভিশনের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম, দুই নারী পুলিশ সদস্য এবং তিনজন পুরুষ কনস্টেবল আহত হন। পরবর্তীতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের মাধ্যমে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
Advertisement
ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
কেআর/এএমএ