প্রথম পর্বে তেহরানে গিয়ে ইস্তেগলালের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে এসেছিলো আল নাসর। যদিও ওই ম্যাচটা খেলতে তেহরান যাননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে ফিরতি পর্বে রিয়াদে ঠিকই খেললেন সিআর সেভেন এবং গোলও করলেন তিনি। সে সঙ্গে জোড়া গোল করলেন জন ডুরান।
Advertisement
রোনালদো এবং জন ডুরানের গোলে ঘরের মাঠে ইস্তিগলালকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে সৌদি ক্লাব আল নাসর। দুই লেগ মিলে আল নাসরের জয় ৩-০ গোলেই।
অন্যদিকে দোহায় অনুষ্ঠিত এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্য ম্যাচে আরব আমিরাতের ক্লাব আল ওয়াসলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে কাতারি ক্লাব আল সা’দ। দুই লেগ মিলিয়ে আল সা’দের জয় ৪-২ ব্যবধানে।
কোয়ার্টার ফাইনালসহ বাকি পর্বের খেলাগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবে সৌদি আরবের জেদ্দায় আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত।
Advertisement
আল নাসর- ইস্তিগলাল ম্যাচের ৯ম মিনিটেই স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন জন ডুরান। কলম্বিয়ান এই ফুটবলারকে ইস্তিগলাল গোলরক্ষক সাইয়েদ হোসেইন হোসেইনি নিজেই ২৫ গজ দুরে বল পাস দেন। বিষয়টা যে ভুলে হয়েছিল তা বলাই বাহুল্য। বল পেয়ে জন ডুরান হোসেইনির মাথারও পর দিয়ে বলটা জড়িয়ে দেন ইস্তিগলালের জালে।
২৭ মিনিটে সাদিও মানেকে বক্সের মধ্যেই ফাউল করেন ইস্তিগলালের মোহাম্মদ নিকনাফ। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট কিক নিতে আসেন রোনালদো। দারুণ আত্মবিশ্বাসে শটটি নিলেন এবং জড়িয়ে দিলেন প্রতিপক্ষের জালে। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে ৯২৭তম গোল হলো সিআর সেভেনের।
প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে (৪৫+১ মিনিটে) ইস্তিগলালকে আরও বিপদে ফেলে লাল কার্ড দেখেন দলটির ফুটবলার মেহরান আহমাদি। কনুই দিয়ে তিনি গুঁতা দেন মোহাম্মদ আর ফাতিলকে। রেফারি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড সমান লাল কার্ড দেখিয়ে মেহরানকে মাঠ থেকে বের করে দেন।
ম্যাচ শেষ হওয়ার ৬ মিনিট আগে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোল করেন জন ডুরান। ম্যাচ শেষে আল নাসর স্ট্রাইকার সাদিও মানে বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা ভালো খেলেছি। অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করেছি আমরা। যেখান থেকে তিনটি গোল করতে সক্ষম হয়েছি।’
Advertisement
আইএইচএস/