একদিকে জেনা-ব্যভিচারকে আইনানুগ স্বাধীনতা দিয়ে, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা ও পর্দাহীনতাকে উৎসাহিত করে অপরদিকে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া দ্বিচারিতা ছাড়া কিছু নয় বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ।
Advertisement
তারা বলেন, প্রচলিত আইনে ধর্ষণের শাস্তি যেমন সহজতর, তেমনি তার প্রয়োগ সবচেয়ে ধীরগতির। তাই প্রকাশ্য শাস্তি ও দ্রুত প্রয়োগের পাশাপাশি কুরআনি বিধান বাস্তবায়ন ছাড়া ধর্ষণের এই বীভৎসতার লাগাম টেনে ধরা সম্ভব নয়।
সোমবার বাদ জোহর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কর্তৃক ‘দ্রুত ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবি এবং পুরুষকে অদম্য নারীর পুরস্কার দিয়ে নারী অবমাননার’ প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে ধর্ষণের বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে ছাত্রদলতারা বলেন, দেশে নারীসমাজের নিরাপত্তা নিয়ে আজ সচেতন মহল উদ্বিগ্ন। অথচ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ আমরা অতীতেও দেখিনি, বর্তমানেও অনুপস্থিত। অথচ ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক জেনা-ব্যভিচার ও ধর্ষণের শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে এবং তা প্রকাশ্যে দ্রুত কার্যকর করলে দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ধর্ষণের বিচার নিশ্চিতের লক্ষ্যে দ্রুত বিচার বিভাগের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে এবং ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিধান রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
Advertisement
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজীর মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীম আবরার, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়জী, মুফতি মোস্তফা কামাল, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরি, মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মাওলানা কামালুদ্দীন সিরাজ, মুফতি ওমর ফারুক ইবরাহীমি, মুফতি আবদুল আজীজ কাসেমী, মুফতি শাহজাহান আল হাবিবি, মুফতি ফরিদুল ইসলাম।
এএএম/এমআরএম/জিকেএস