নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সুমন মিয়া (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
Advertisement
সোমবার (১০ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমন মিয়া জয়নগর গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় তার বাবা আলম মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, সকালে নিহত সুমনের শ্যালক বায়জিদ ওষুধ আনতে তার মাকে ফকিরা এলাকায় এক কবিরাজের বাড়ি পাঠাতে একটি রিকশা ঠিক করেন। এসময় রিকশাচালক জানান, অন্য আরেক জায়াগায় যাওয়ার জন্য আরেকজন এরই মধ্যে কথা বলেছেন। বায়জিদ রিকশাচালককে অনুরোধ করলে চালক তার মাকে নিয়ে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রিকশাচালকের সঙ্গে আগে কথা বলা আইয়ুব, মোমেন, তারেক, রিমন ও হিমেল রিকশাচালক ও বায়জিদের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। একপর্যায়ে বায়জিদকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
Advertisement
পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আইয়ুব, মোমেন, তারেক, রিমন ও হিমেলসহ আরও ১৫-২০ জন বায়জিদদের বাড়ি গেলে ফের কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এসময় হৈহুল্লোড় শুনতে পেয়ে সেখানে যান নিহত সুমন ও তারা বাবা আলম মিয়া। দু’পক্ষের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষরা সুমনকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে বাধা দিতে গেলে সুমনের বাবা আলম মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের মানুষ এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। পরে সুমন ও আলম মিয়াকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমন মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আলম মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, রিকশায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে সেটা হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। এসময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সুমন নিহত হন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় তারা বাবাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
সঞ্জিত সাহা/এমএন/এমএস
Advertisement