জাতীয়

পাচার অর্থ ফেরাতে অগ্রাধিকার ১১ ক্ষেত্রে সরকারের কর্মপরিকল্পনা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে পাচার করা ২৩৪ বিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে আনতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্টসহ ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) ও জেআইটি (জয়েন্ট ইনকোয়ারি টিম)।

Advertisement

পাচার অর্থ ফিরিয়ে আনতে এই ১১ ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সংশ্লিষ্টদের দেশে ও বিদেশে অবৈধ সম্পদ চিহ্নিতকরণ ও অনুসন্ধান, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) ও লেটার রোগাটরি (এলআর) প্রেরণ, অবৈধ সম্পদ অবরুদ্ধকরণ, ক্রোক বা সংযুক্তকরণ, জব্দকরণ, বাজেয়াপ্তকরণ, এমএলএআরের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য আদালতে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন, বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করুন এবং অবৈধ সম্পদ প্রত্যর্পণ ও ব্যবস্থাপনা, অর্থ উদ্ধারে বিশ্বব্যাংক (এসটিএআর), ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্টি করাপশন কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (আইএসিসিসি), ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস (ইউএস ডিওজে) এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর এসএসসি রিকভারির (আইসিএআর) সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুনকেম্যান আইল্যান্ডস ও পাঁচ দেশে শেখ হাসিনার সম্পদের সন্ধান মিলেছে

রোববার (১০ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৈঠকের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, এছাড়া অগ্রাধিকার প্রাপ্ত ১১ ক্ষেত্র ছাড়া অন্যান্য অর্থপাচারের ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা কর্তৃক কার্যক্রম চলছে। ২০০ কোটি টাকা বা তদূর্ধ্ব অর্থপাচারের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক আইনিফার্ম/কোম্পানি/লিটিগেশন ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ উদ্ধারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ সংশ্লিষ্ট তথ্য বিএফআইইউ ব্যাংকগুলো থেকে সংগ্রহ করছে।

Advertisement

প্রেস সচিব জানান, এ সংক্রান্ত কতিপয় ফার্ম কোম্পানি এরই মধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছে। লিটিগেশন ফার্ম করতে গৃহীত কেসগুলোর আইনের প্রক্রিয়া শেষে উদ্ধার অর্থ থেকে একটি নির্দিষ্ট শেয়ার ফি হিসেবে গ্রহণ করবে।

এমইউ/বিএ/জেআইএম