অর্থনীতি

আড়ংয়ের নান্দনিক আউটলেটে ক্রেতাদের ভিড়

রোজা সবে শুরু হয়েছে। রাজধানীর শপিংমল ও ফ্যাশন হাউজগুলোতে বেচাবিক্রিও ঠিকমতো শুরু হয়নি। রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে ধানমন্ডিতে নতুন আড়ং আউটলেটে দেখা গেলো উলটো চিত্র। ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো শুধু কেনাকাটা নয়, নান্দনিক আউটলেটটি ঘুরে দেখতেই তারা এসেছেন। কয়েকজনকে ভ্লগ করতে দেখা গেছে। ছবি, সেলফি তোলার হিড়িত তো ছিলই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও সয়লাব আউটলেটটির নানান ভিডিওতে।

Advertisement

শুক্রবার ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ং ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়কে তাদের নতুন ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটের উদ্বোধন করেছে। ৬০ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে ৮তলা বিশিষ্ট এই স্টোরটিকে আড়ং বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রাফট স্টোর বলছে।

পুরো ভবনটির অন্দরসজ্জা সাজানো হয়েছে ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প, মৃৎশিল্প, সূচশিল্পসহ নানা ধরনের আলোর ব্যবহার দিয়ে। প্রতিটি তলায় স্থান পেয়েছে অসাধারণ কিছু শিল্পকর্ম। নান্দনিক নকশা সমৃদ্ধ ভবনটি কেবল মাত্র বিক্রয়কেন্দ্র হয়ে উঠেনি, বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সৃষ্টিশীলতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। 

আরও পড়ুন আড়ংয়ে চাকরির সুযোগ, থাকছে না বয়সসীমা  আড়ংকে দুই লাখ টাকা জরিমানা 

রাজধানী উত্তরা থেকে এসেছেন নাজনীন নাহার। তিনি বলেন, শুধু কেনাকাটা করতে আসিনি। শো রুমটি দেখতেও এসেছি। নকশি কাঁথা, শিল্পকর্ম সব কিছু মিলিয়ে দোকানটি নিজেই একটি শিল্পকর্ম হয়ে উঠেছে। 

Advertisement

শামসুদ্দির নামের একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর জানালেন, অনেকেইে এখানে ভিডিও বানাচ্ছেন। আমিও ভিডিও করতে আসলাম। তবে ক্রেতা ও দর্শনার্থীর সংখ্যা আজ অনেক বেশি। 

চারতলা উচ্চতাবিশিষ্ট নকশিকাঁথায় সূচিকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে আড়ংয়ের ইতিহাস। রয়েছে মৃৎশিল্পের দেয়াল যা মাটির তৈরি শিল্পকর্মের এক অনন্য সংগ্রহ। বিভিন্ন তলায় আর্টিফিশিয়াল গাছ, তামা ও পুনর্ব্যবহৃত কাচ দিয়ে তৈরি ঝুলন্ত শিল্পকর্ম রয়েছে। যা আলো ও ছায়ার অপরূপ খেলা তৈরি করে।

ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামারা আবেদ বলেন, এই নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্টোর বাংলাদেশের কারুশিল্প ও ঐতিহ্যকে বিশ্ব-দরবারে তুলে ধরার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমাদের প্রতিটি পণ্য একেকটি গল্প বলে, যা গ্রাহক ও কারুশিল্পীদের মাঝে মেলবন্ধনস্বরূপ। এই স্টোর আড়ংয়ের বিশ্বমঞ্চে এগিয়ে যাওয়ার যে অঙ্গীকার, তারই প্রতিফলন।

এসএম/এমআরএম

Advertisement