কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। তিনি জাস্টিন ট্রুডোর উত্তরসূরি হিসেবে জয়ী হয়েছেন। দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ী হওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন মার্ক কার্নি। খবর বিবিসির।
Advertisement
তিনি ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর ছিলেন। ৫৯ বছর বয়সী কার্নি বিজয়ী হওয়ার পর এক বক্তৃতায় ট্রাম্পকে আক্রমণ করে বলেন, তিনি (ট্রাম্প) কানাডার ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন এবং বলেছেন যে, কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্যে পরিণত করতে চান। কিন্তু আমেরিকানদের কোনো ধরনের ভুল করা উচিত নয়। হকি খেলায় কানাডা যেমন জয়ী হয়েছে বাণিজ্য যুদ্ধেও তারা জয়ী হবে।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই কার্নি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনে লিবারেলদের নেতৃত্ব দেবেন তিনি। কয়েক সপ্তাহ পরেই দেশটির সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
প্রায় এক দশক ধরে দায়িত্ব পালনের পর গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো। সে সময় থেকেই দেশের নেতৃত্ব কার হাতে যাবে তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরপর তার উত্তরাধিকার বাছাইয়ের জন্য ৯ মার্চ দিন ধার্য করা হয়। অবশেষে তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছে কার্নি।
Advertisement
ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়তা কমে যাওয়া বিশেষ করে আবাসন সংকট এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে ট্রুডোর প্রতি মানুষের হতাশার কারণে পদত্যাগের জন্য অভ্যন্তরীণ চাপের সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি।
স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ব্যালটে কার্নি ৮৫ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে পরাজিত করেছেন।
দেশটিতে যিনি হাউস অব কমন্সের সবচেয়ে বড় দল লিবারেল পার্টির প্রধান হবেন তিনিই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন। সে হিসেবে মার্ক কার্নি নির্বাচনের আগপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সৌদির গ্রান্ড মসজিদে রোবোট চালু, উত্তর দেবে বিভিন্ন প্রশ্নের রমজানে ভিক্ষা করা প্রবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে কুয়েত সৌদিতে আবাসিক-শ্রম আইন লঙ্ঘন, গ্রেফতার ২০ হাজারের বেশিরাজধানী অটোয়ায় প্রায় এক হাজার ৬০০ জন দলীয় সমর্থকের সামনে ফলাফল ঘোষণার সময় সেখানে এক আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়। লোকজন উল্লাস করতে থাকেন এবং কার্নিকে স্বাগত জানান। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই নির্বাচনে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন।
Advertisement
টিটিএন