উদ্বোধনী জুটিতে ১০৫ রান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের সামনে লক্ষ্য খুব বড় নয়, ২৫২ রানের। রোহিত শর্মার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সেই লক্ষ্যে উড়ন্ত সূচনা করে ভারত। ৪১ বলেই ফিফটি ছুঁয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক।
Advertisement
গিল অবশ্য এভাবে মেরে খেলতে পারেননি। তবে রোহিতকে সঙ্গ দেওয়ার কাজটি ঠিকঠাক করেছেন। ৫০ বলে ৩১ করে গিল স্যান্টনারের বলে গ্লেন ফিলিপসের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হন।
এরপর কোহলিকে (১) এলবিডব্লিউ করেন ব্রেসওয়েল। ১ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় ভারত। রোহিত চাপ কমাতে ডাউন দ্য উইকেট খেলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাচিন রবীন্দ্রর বলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন ভারতীয় অধিনায়ক। ৮৩ বলে ৭ চার আর ৩ ছক্কায় তিনি করেন ৭৬।
১৭ রানের মধ্যে ভারতের ৩টি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরেছে নিউজিল্যান্ড। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৮.৪ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৩২ রান।
Advertisement
এর আগে দুবাইয়ে টস জিতে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৫১ রান করে নিউজিল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা ছিল উজ্জ্বল। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৭ রান তুলেছিলেন দুই ওপেনার উইল ইয়াং ও রাবিন রাবিন্দ্রা।
২৩ বলে ১৫ রান করে ইয়াং ভারতীয় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর শিকার হলে এরপর ৬ রানের ব্যবধানে দুই ব্যাটিং স্তম্ভ রাবিন্দ্রা ও কেন উইলিয়ামসনও সাজঘরে ফেরত যান। ৭৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
রাচিনের উড়ন্ত সূচনা থামে ২৯ বলে ৩৭ রানে। উইলিয়ামসন করতে পারেন মাত্র ১৪ বলে ১১ রান। দুজনই হন চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ যাদবের শিকার।
এরপর চতুর্থ উইকেটে ম্যাচ ধরার চেষ্টা করেন টম লাথাম ও ড্যারিল মিচেল। দেখেশুনে তাদের ধীরগতির ৬৬ বলে ৩৩ রানের জুটি ভাঙে লাথাম আউট হলে। ৩০ বলে ১৪ রান করে স্পিনার রবীন্দ্রা জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ হন লাথাম।
Advertisement
পঞ্চম উইকেটে গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে ৫৭ রানের জুটি করেন মিচেল। ফিলিপসকে (৫২ বলে ৩৪) আউট করে এ জুটি ভাঙেন বরুণ। ষষ্ঠ উইকেটে মাইকেল ব্রাসওয়েলকে নিয়ে ৪৬ রানের আরও একটি জুটি করেন মিচেল। এরপর থেমে যায় মিচেলের লড়াকু ১০১ বলে ৬৩ রানের ইনিংসটিও। মোহাম্মদ শামির বলে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ হন মিচেল।
শেষ দিকে নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে কিছু রান জমা হয় ব্রাসওয়েলের হার না মানা ফিফটিতে। ৩ চার ২ ছক্কায় ৪০ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন কুলদীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তী। একটি করে উইকেট পান রবীন্দ্র জাদেজা ও মোহাম্মদ শামি।
এমএমআর/জেআইএম