সিরিয়ার বানিয়াস গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারাআ দেশজুড়ে শান্তি ও ঐক্যের আহ্বান জানান।
Advertisement
রোবববার (৯ মার্চ) সকালে দামেস্কের মাজ্জাহ এলাকার এক মসজিদ থেকে প্রেসিডেন্ট আল-শারাআ বলেন, জাতীয় ঐক্য ও অভ্যন্তরীণ শান্তি রক্ষা করা প্রয়োজন; যাতে আমরা একসঙ্গে বাস করতে পারি। তার এই আহ্বানের কয়েক ঘণ্টা পরেই বানিয়াস বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আসাদ সমর্থকদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) থেকে লাটাকিয়া ও তার্তুসে কমপক্ষে ৭৪৫ জন আলাওয়ি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া, প্রায় ১২৫ জন সরকারি নিরাপত্তা সদস্য এবং ১৪৮ জন আসাদপন্থি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ১৮-তে পৌঁছেছে।
রোববার সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তার্তুসের বেতানিতা গ্রামে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়, যা এখনো চলছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল হাসান আব্দুল গানি বলেন, লাটাকিয়া ও তার্তুস অঞ্চলে আসাদপন্থিদের নির্মূল করতে সামরিক অভিযানের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে।
Advertisement
এদিন দেরা ও দামেস্কের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী অপটিক্যাল কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুই অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। দেরা টেলিকমের পরিচালক আহমাদ আল-হারিরি বলেন, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোতে ধারাবাহিক হামলার কারণে এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অপটিক্যাল কেবল কাটা পড়েছে, যা দুই প্রদেশকে প্রধান টেলিযোগাযোগ কেন্দ্রের সঙ্গে সংযুক্ত রাখত।
এদিকে, কাতারভিক্তিক সংবাদমাধ্যম জাজিরার দামেস্ক প্রতিনিধি রেসুল সেরদারের মতে, সংঘর্ষ কিছুটা কমে এলেও, সিরিয়ায় জনবিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠছে। অঞ্চলটিতে এখনও অনেক মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তবে সিরিয়ার নতুন সরকার আলাওয়ি, কুর্দি, তুর্কমেন, আরব, সুন্নি, শিয়া, মুসলিম ও খ্রিস্টানদের অন্তর্ভুক্ত করছে। এই বিষয়টিকে দেশটির ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: আল জাজিরা
Advertisement
এসএএইচ