সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (৯ মার্চ) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিক সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে কমেছে সবকয়টি মূল্যসূচক। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
Advertisement
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যাক প্রতিষ্ঠান। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দুই বাজারেই ভালো, মন্দ, মাঝারি সব শ্রেণির বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের স্থান হয়েছে দাম কমার তালিকায়।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে চার গ্রুপে ভাগ করা হয়। নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি থাকে ‘এন’ গ্রুপে। তালিকাভুক্তির পর এক আর্থিক বছর পার হলে কোম্পানিগুলো ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’ গ্রুপে বিভক্ত হয়।
এর মধ্যে ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানির স্থান হয় ‘এ’ গ্রুপে। ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানি থাকে ‘বি’ গ্রুপে। এছাড়া লভ্যাংশ না দিতে পারা কোম্পানির স্থান হয় ‘জেড’ গ্রুপে। জেড গ্রুপের কোম্পানিকে শেয়ারবাজারের পচা কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
Advertisement
রোববার (৯ মার্চ) ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ‘এ’ গ্রুপের ২১৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৩টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৪৬টির এবং ৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ‘বি’ গ্রুপের ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এছাড়া দাম কমেছে ৬১টির এবং ৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩টির দাম বেড়েছে। অন্যদিকে ১১টির কমেছে এবং ২২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ‘জেড’ গ্রুপের ৯৯ কোম্পানির মধ্যে ১৩টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৬৬টির এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে শেয়ারবাজারে ‘এন’ গ্রুপে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই।
আরও পড়ুনশারজাহর ‘রমজান নাইটস’ মেলায় ৮০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়ট্রেনের ধাক্কা লেগেও বেঁচে গেলেন রেললাইনে ঘুমিয়ে থাকা মদ্যপ ব্যক্তিসব শ্রেণির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে মাত্র ৫৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৭৪টির। এছাড়া ৬৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৮৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
সবকয়টি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৩৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৫৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকার। ১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লিন্ডে বাংলাদেশ।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বিচ হ্যাচারি, ফারইস্ট নিটিং, এশিয়ান টাইগার, সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড, মিডল্যান্ড ব্যাংক, রবি, হাক্কানী পাল্প এবং খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪১টির এবং ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩ কোটি ৯ লাখ টাকা।
এমএএস/কেএসআর