তথ্যপ্রযুক্তি

স্টারলিংক এলে দেশীয় ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা ভালো সেবা দিতে বাধ্য হবে

ইলন মাস্কের স্টারলিংক বাংলাদেশে এলে দেশীয় ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা চাপে পড়ে হলেও ভালো সেবা দিতে বাধ্য হবেন বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

Advertisement

তিনি বলেন, দেশের ইন্টারনেট গ্রাহকদের জন্য আমরা অবশ্যই স্টারলিংক নিয়ে আসব। এটা আমাদের কমিটমেন্ট (প্রতিশ্রুতি)। হ্যাঁ, স্টারলিংক আসার পর দেশীয় ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা হয়তো কিছুটা বিপাকে পড়তে পারেন। এটি তো খারাপ হবে বলে আমি মনে করছি না। চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে হলেও তারা ভালো ইন্টারনেট সেবা দিতে বাধ্য হবেন।

রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন ‘প্রান্তিক পর্যায়ে দ্রুতগতির মানসম্পন্ন ও সহজলভ্য ইন্টারনেট প্রাপ্তিতে করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা যে ৫ বা ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা দিয়ে ব্রডব্যান্ড লাইন বলে থাকে, সেটি আসলে তা নয়। ব্রডব্যান্ডের জন্য ন্যূনতম ২০ এমবিপিএস গতি থাকতে হবে। আবার ১০০ এমবিপিএস থেকে ৫ জনকে ভাগ করে দিলেও সেটা ভালো সেবার মধ্যে পড়ে না।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, দেশের গ্রাহকদের জন্য সার্বোচ্চ ভালো গতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে হবে। স্টারলিংক দেশে আসলে প্রিমিয়াম ইন্টারনেট গ্রাহকরা সেদিকে ঝুঁকে পড়বেন। তাই আগে থেকে ভালো সেবা দিতে গ্রাহকদের প্রতি প্রতিশ্রুতিব্ধ থাকতে হবে ব্যাবসায়ীদের।

প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, বিগত সরকার টেলিযোগাযোগ খাতে যে ধরনের পলিসি গ্রহণ করেছিল, সেগুলো আসলে বর্তমান বিশ্বের টেলিযোগাযোগ খাতের আশপাশেও যায় না। এ খাতটি হলো সেবামূলক খাত। অথচ বাংলাদেশের বেশির ভাগ পলিসি এখন পর্যন্ত ফোনকলের ওপর নির্ভরশীল। আমরা কাজ করছি। আশা করি দ্রুতই বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক পলিসিগুলো বাস্তবায়ন করতে পারব।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির বিশেষ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে তথ্য পাওয়া মানুষের গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। সাবেক স্বৈরশাসক এ অধিকার থেকে দেশের মানুষদের নানাভাবে বঞ্চিত করেছে। ৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন জায়গার সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু টেলিকমিউনিকেশন সেক্টর নিয়ে সেভাবে কিছু বলা হচ্ছে না। এটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। এখানেও সংস্কার হওয়া প্রয়োজন।

মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইমাদুর রহমান, বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিলুর রহমান, টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ মাহতাব উদ্দিন, আইআইজির সভাপতি আমিনুল হাকিম, বিডিজবসের সিইও ও বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর প্রমুখ।

Advertisement

এএএইচ/এএমএ