হামাসের একটি সশস্ত্র শাখা সতর্ক করে জানিয়েছে যে, গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হলে বন্দিদের জীবন বিপন্ন হয়ে উঠবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত উইটকফ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, বন্দিদের মুক্তি দেওয়া না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপে অংশ নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
Advertisement
এদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে যে, গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টার জন্য তারা সোমবার কাতারের রাজধানী দোহায় একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে।
হামাস বলছে, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে আলোচনা শুরুর জন্য ‘ইতিবাচক ইঙ্গিত’ পাওয়া গেছে। গাজার খান ইউনিসের ছয়টি বেকারি জ্বালানি সংকটের কারণে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে। অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় প্রবেশকারী সব ধরনের ত্রাণ সামগ্রীর ওপর অবরোধ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে সময় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন প্রাণ হারায়। এছাড়া আরও দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
Advertisement
এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৪৫৩ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ১১ হাজার ৮৬০ জন।
আরও পড়ুন: এবার সৌদিতে ইউক্রেনের সঙ্গে বৈঠক করবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া বন্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্রতবে গাজার মিডিয়া অফিস বলছে, নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৬১ হাজার ৭০৯। ধারণা করা হচ্ছে, আরও কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
টিটিএন
Advertisement