নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবের রহমান শামিমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। এসময় তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলসহ কুশপুতুল পুড়ে প্রতিবাদ করা হয়।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে দ্বীপের ওছখালী বাজারে এসব কর্মসূচি পালন করে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের পদবঞ্ছিত নেতাকর্মীরা।
হাতিয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম শামীম জাগো নিউজকে বলেন, সম্প্রতি বিএনপি নেতা মাহবুবের রহমান শামিম টাকার বিনিময়ে হাতিয়া উপজেলা ও পৌরসভা যুবদলের পকেট কমিটি গঠন করেছেন। এ ঘটনায় শামিমই 'মাস্টার মাইন্ড'। কমিটি পরিবর্তন না করা পর্যন্ত তাকে (শামিম) দ্বীপে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
সাবেক আরেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. শাহীন উদ্দিন বলেন, আগে যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ছিল। এখন সবাইকে ডেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারতেন। কিন্তু মাহবুবের রহমান শামীম একজন গার্মেন্টস কর্মীকে এনে যুবদলের কমিটিতে নেতা বানিয়েছেন। এরা কখনো একটা মামলায় আসামিও হয়নি।
Advertisement
প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন হাতিয়া উপজেলা যুবদলের সদ্য বিদায়ী কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম আমির, মো.শাহীন উদ্দিন, অ্যাডভোকেট নুর ইসলাম সুমন, হাতিয়া পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ আজাদ ও সাবেক সদস্যসচিব মোছলেহ উদ্দিন প্রমুখ।
হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক খোকন জাগো নিউজকে বলেন, পদবঞ্ছিত নেতারা বিএনপি নেতা শামিমের ফটোতে আগুন দিয়েছে। আমরা কোনো ব্যক্তির রাজনীতি করবো না। আমরা সাংগঠনিক রাজনীতি চাই। আশাকরি দলকে সুসংগঠিত করতে কেন্দ্র এবং জেলা কমিটি বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করবেন।
এ বিষয়ে জানতে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবের রহমান শামিমকে বারবার ফোন দিলেও তিনি সংযোগ কেটে দেন। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিলেও কোনো উত্তর দেননি।
অন্যদিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর আলমগীর আলো এবং সদস্যসচিব হারুনুর রশিদ আজাদকে ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেননি।
Advertisement
গত মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে হাতিয়া উপজেলা ও হাতিয়া পৌরসভা যুবদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় যুবদল। এতে উপজেলা যুবদলে মো. ইসমাইল হোসেন ইলিয়াসকে আহ্বায়ক ও ফাহিম উদ্দিনকে সদস্যসচিব এবং মোমিন উল্যাহ রাসেলকে আহ্বায়ক ও কাউসার মোস্তফাকে সদস্যসচিব করে হাতিয়ার পৌরসভা যুবদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ইকবাল হোসেন মজনু/আরএইচ/জেআইএম