জাতীয়

সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ৭ দিনে সারাদেশে গ্রেফতার ৪২৭

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযানে গত সাত দিনে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক কারবারিসহ ৪২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জান-মালসহ সার্বিক নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্গলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আইন-বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী নিরপেক্ষতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

আরও পড়ুন

Advertisement

জামিনের পর পাগড়ি ও ফুলের মালায় অর্ণবকে বরণ করলো ‘তৌহিদি জনতা’বিক্ষোভের শহরে পরিণত হচ্ছে ঢাকা

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশন, ১০ পদাতিক ডিভিশন, ১১ পদাতিক ডিভিশন, ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৭ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৮৬ স্বতন্ত্র সিগন্যাল ব্রিগেড ও ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটগুলো এবং অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীর মিরপুর-১, ভাষানটেক, ইসিবি চত্বর, কাঁঠালবাগান, হাজারীবাগ এবং দেশের অন্য এলাকা- টঙ্গী, নরসিংদী, রাজেন্দ্রপুর, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আইএসপিআর আরও জানায়, এসব যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্য ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক কারবারিসহ ৪২৭ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, এনআইডি, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও অভিযানে বিভিন্ন স্থানে নকল ভোজ্যতেল ও নকল ফলের জুসের কারখানাসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা সিলগালাসহ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

গ্রেফতারদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন

চলতি বছর জাতীয় নির্বাচন সম্ভব না: নাহিদ

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।

টিটি/এমকেআর/জেআইএম