ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বদরুল আলম হিম্মত (৩২) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ মার্চ) রাত ৮টার দিকে উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের মগটুলা গ্রামে তার বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
বদরুল আলম হিম্মত একই গ্রামের হাসিম উদ্দিনের ছেলে।
মারা যাওয়ার আগে গত রোববার (২ মার্চ) ভোরে হিম্মত নিজের ফেসবুক আইডিতে তার বাবা-মা ও দুই ভাইয়ের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন- ‘এই মানুষগুলো আমাকে মৃত্যুর চেয়ে ভয়ঙ্কর মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে সুইসাইড করতে বাধ্য করেছে। বিশেষ করে আমার দুই ভাই। ভেবে নিয়েছি, দ্বিতীয় রমজানে আমি পৃথিবী থেকে বিদায় নেবো। সত্যি বলতে বেকারত্বের যন্ত্রণা যে কতটা ভয়ঙ্কর, তা যে বেকার সেই বোঝে। হয়তো আমাকে কবর দিয়ে সবাই ভুলে যাবে। কিন্তু আমাকে মেরে ফেলা মানুষ- তোমাদের সঙ্গে হাশরের ময়দানে দেখা হবে। সে পর্যন্ত দোয়া করি ভালো থেকো।’
পরে একইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে হিম্মত ৫৮ থেকে ৫৯ পিস ঘুমের ট্যাবলের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘আল্লাহ তুমি আমাকে মাফ করে দিও।’
Advertisement
হিম্মতের বড় ভাই সারোয়ার আলম বলেন, আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। আমি চাকরির সুবাদে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় থাকি। বিগত ২০ দিন ধরে আমার বাবা ঢাকার আব্দুল্লাহপুরে ক্যানসারের চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত সোমবার রাতে আমার মা হিম্মতের মোবাইল নম্বরে অনেকগুলো কল দিলেও রিসিভ করেনি।
তিনি বলেন, হিম্মত অনেক বছর ধরে মাদকাসক্ত। চারবার তাকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু হিম্মত সংশোধন হয়নি। তাকে আমরা অনেকবার ব্যবসার জন্য টাকা দিয়েছি। ব্যবসার টাকা মাদকের পেছনে খরচ করেছে। কিন্তু সে এমন সিদ্ধান্ত নেবে আমরা ভাবতেই পারিনি।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
কামরুজ্জামান মিন্টু/এফএ/এএসএম
Advertisement