সাতক্ষীরার সদরে টেন্ডার ছাড়াই সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে। উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের কাওনডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গফুর ঢালী নামে ওই জামায়াত কর্মীর দাবি, বিভিন্ন মসজিদে দান করতে তিনি ওই গাছ বিক্রি করেছেন। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে সড়কের ধারে বেড়ে ওঠা ওই শিশুগাছটি কেটে নিয়ে যান গাছ ব্যবসায়ী হাওয়ালখালী গ্রামের আরিফুল ইসলাম।
Advertisement
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, চৈত্রমাসে প্রখর রৌদ্র থেকে কৃষকদের স্বস্তির জন্য কাদের নামের এক ব্যক্তি ব্রিজের দুইপাশে দুটি শিশুগাছ রোপন করেন। গাছদুটি অনেক বড় হয়েছে। কয়েক বছর আগে ব্রীজের পূর্বপাশের রাস্তার উত্তর পাশে একটি ছোট মসজিদ করেন তৎকালীন চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন। তিন বছর আগে ব্রীজের পূর্বপাশের জমি কেনেন গফুর ঢালী। হঠাৎ গত রোববার থেকে বড় শিশুগাছটি কাটা শুরু করেন গাছ ব্যবসায়ী আরিফুল। জানতে চাইলে তারা বলেন, গাছটি বিক্রি করে যে টাকা হয় সেই টাকা জামায়াতের কর্মী গফুর ঢালী বিভিন্ন মসজিদে বিতরণ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের কাছে গাছটি বিক্রি করে দিয়েছেন। তাই আমরা কাটছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত গফুর ঢালী নিজেকে জামায়াত কর্মী পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘এই গাছটি সরকারি হলেও সরকার এটি লাগায়নি। অন্য একজন লাগিয়েছিল। আমি তার সঙ্গে কথা বলে গাছটি ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। এই টাকা তো আমি খবো না। বিভিন্ন মসজিদে দান করে দেবো।’
বাঁশদহা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি ডা. মো. ওসমান গণি বলেন, ‘গফুর ঢালী জামায়াতের কর্মী। তিনি একটি গাছ বিক্রি করেছেন। তবে স্থানীয়রা তাতে বাধা দিয়েছে বলে শুনেছি।’
Advertisement
এ বিষয়ে জানতে জেলা সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
আহসানুর রহমান রাজীব/এমএন/জিকেএস