ইফতার শেষে নামাজ না পেয়ে ইমামের ছেলেকে পেটালেন আ. লীগ নেতা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মসজিদে মাগরিবের নামাজ জামাতে পড়তে না পেরে ইমামের ছেলেকে পিটিয়েছেন চরবাগডাঙা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর আলী।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) মাগরিবের নামাজের পর সদর উপজেলার চরবাগডাঙা ইউনিয়নের গিধনি পাড়া ওয়াক্তিয়া মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তি একই এলাকার সোলেমান বিশ্বাসের ছেলে মো. রুহুল আমিন। তাকে বর্তমানে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে এ ঘটনার পরপরই চরবাগডাঙা এলাকায় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রুহুল আমিন।

আহত রুহুল আমিন বলেন, আমার বাবা গিধনি পাড়া ওয়াক্তিয়া মসজিদের ইমাম। বৃদ্ধ বাবা অনুপস্থিত থাকায় আমি মাগরিবের আজান দিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে মুসল্লিদের অনুমতি নিয়ে নামাজ পড়ানো শুরু করি। কিন্তু বিলম্বে মসজিদে আসেন আওয়ামী লীগ নেতা ওমর আলী। এসেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করেন। নামাজ শেষে এক পর্যায়ে আমার ওপর হাসুয়া নিয়ে হামলা চালিয়ে মারধর করেন।

রুহুল আমিনের ভাই ইমদাদুল হক বলেন, ইফতার শেষে মসজিদের অন্য মুসল্লিদের অনুমতি নিয়েই নামাজ শুরু করা হয়। এরপরও ওমর আলী তার ভাইদের নিয়ে হামলা চালান। এতে আমার ভাইয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে।

তবে মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে চরবাগডাঙা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর আলী বলেন, ইফতার শেষ করে মসজিদে গিয়ে দেখি নামাজ শেষ হয়ে গেছে। তাই ইমামের ছেলেকে জিজ্ঞেস করেছি কেন এতো আগে নামাজ শেষ হলো। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মতিউর রহমান বলেন, ওমর আলীর এক ইমামের ছেলেকে মারধরের ঘটনাটি শুনেছি। দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোহান মাহমুদ/এফএ/এমএস