সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা, যা জাতীয় বাজেট বাস্তবায়নের অন্যতম গাইডলাইন হিসেবে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। পরিবেশবান্ধব টেকসই উন্নয়ন ও উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, দারিদ্র্য নিরসন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক খাতভিত্তিক লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দলিল। মাথাপিছু আয়-কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রকল্পের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৪৩৭টি হয়েছে।
Advertisement
মূল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় কমছে ৪৯ হাজার কোটি টাকা। ফলে এখন চূড়ান্ত এডিপির আকার কমে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে সভায় আরএডিপি উপস্থাপন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। এনইসি সভা শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।
Advertisement
পরিকল্পনা কমিশন, বিদ্যমান সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের অনুকূলে চাহিদা ও বরাদ্দের সমন্বয়ের জন্য প্রতি বছরের মতো ২০২৪-২৫ অর্থবছরেও এডিপি সংশোধন করেছে। এডিপি সংশোধনের ক্ষেত্রে চাহিদা ও বাস্তবতার আলোকে এডিপি বরাদ্দের সমন্বয় করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এডিপি অনুমোদনের পর থেকে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি ও নিয়ম অনুযায়ী সময়ে সময়ে যে সংশোধন করা হয় তা চূড়ান্তভাবে আরএডিপি’তে প্রতিফলন করা হয়। আরএডিপি প্রণয়নের নীতিমালা অনুযায়ী প্রাপ্ত সম্পদ বণ্টনের মাধ্যমে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের চূড়ান্ত সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে।
আরএডিপিতে মোট প্রকল্পের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৩৭টি যা এডিপিতে ছিল ১ হাজার ৩২৬টি। ফলে এডিপি থেকে আরএডিপিতে ১১১টি প্রকল্প বেড়েছে। আরএডিপিতে মোট অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগ প্রকল্পটি ১ হাজার ২১২টি, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ২৮টি, কারিগরি সহায়তা ১১টি ও নিজস্ব অর্থায়ন প্রকল্প ৮৫টি।
এমওএস/এমআইএইচএস/এএসএম
Advertisement