খেলাধুলা

ব্যাপারটা লজ্জাজনক, তবে বিসিবির কিছু করার নেই

বিপিএল বিতর্ক থামছেই না। শুধু ক্রিকেটার নয়, ‘হোস্ট’ ইয়াশা সাগরের পেমেন্ট নিয়েও এবারের বিপিএলে বেশ বিতর্ক হয়েছে। সেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু ছিল রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজি। চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজিরাও কম যাননি।

Advertisement

১ লাখ ডলারে পাকিস্তানির কিংবদন্তি ক্রিকেটার শহিদ আফ্রিদিকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে এনে তার পাওনা পরিশোধ না করায় এখন শিরোনামে চট্টগ্রাম কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজি।

বাংলাদেশি মিডিয়ায় শহিদ আফ্রিদির দাবি, তার সঙ্গে ১ লাখ ডলারের চুক্তি ছিল চট্টগ্রাম মালিকপক্ষের। তাকে মাত্র ১৯ হাজার ডলার দেওয়া হয়েছে। বাকি ৮১ হাজার ডলারের এক কানাকড়িও পাননি তিনি। পাওনা পারিশ্রমিক না পেলে আফ্রিদি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার শরণাপন্ন হবেন বলেও জানিয়েছেন।

আফ্রিদির মতো একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ব্যক্তিত্বের সঙ্গে চুক্তির এক পঞ্চমাংশ পরিশোধ না করার ঘটনা দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। বিসিবির প্রতিক্রিয়া কী?

Advertisement

বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম আজ সোমবার বিকেলে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, ‘পুরো ব্যাপারটা ন্যাক্কারজনক ও লজ্জাজনক। ঘটনাটি দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মাথা নিচু করে দেওয়ার মতো। এতে দেশের সম্মানহানি হয়। আগামীতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, বিসিবি সে চেষ্টাই করবে।’

বিসিবি পরিচালকের বক্তব্য, ‘আসলে কোন দল, কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি কাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করে আনবে, কার সঙ্গে কত টাকার চুক্তি করবে-এসব বোর্ডের জানার কথা নয়। তবে আগামীতে বিসিবির পক্ষ থেকে এমন একটি মেকানিজম তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন ঘটনা ঘটাতে না পারে।’

বোর্ড সভায় আলোচনাআজ সোমবার বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অন্যান্য আলোচ্যসূচির পাশাপাশি অনির্ধারিত ইস্যু হিসেবে আফ্রিদির পাওনা পরিশোধ না হওয়া নিয়েও আলোচনা হয়।

ফাহিম বলেন, ‘আমরা বোর্ড মিটিংয়ে এ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি। চেষ্টা থাকবে বিষয়টির ইতিবাচক সমাধান করার।’

Advertisement

তিনি জাগো নিউজকে আরও জানান, ‘আসলে আফ্রিদির পেমেন্ট না পাওয়ার ঘটনাটি নিতান্তই দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক। তবে এক্ষেত্রে বিসিবির তেমন কিছু করার নেই।’

কেন বিসিবির কিছু করার নেই?একজন আন্তর্জাতিক তারকা, যার বিশ্বজোড়া খ্যাতি ও পরিচিতি, তিনি ১ লাখ ডলারের চুক্তিতে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে এসেছিলেন। কিন্তু আসর শেষ হওয়ার এক মাস পরও তিনি তার পাওনার পাঁচ ভাগের এক ভাগও পাননি। তাহলে বিসিবি কি চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে কথা বলে আফ্রিদির পাওনা বুঝিয়ে দিতে পারে না? কঠিন সত্য হলো, না, পারে না।

কারণ, বিসিবি বিপিএলে কেবলমাত্র প্লেয়ার্স ড্রাফটে বিক্রি হওয়া দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের পাওনার সমুদয় দায়-দায়িত্ব বহন করে। অর্থাৎ, যদি কোনো প্লেয়ার্স ড্রাফটে বিক্রি হওয়া ক্রিকেটার তার পাওনা না পান, তাহলে বিসিবি সেই টাকা পরিশোধ করে দেয়।

কিন্তু শহিদ আফ্রিদি তো আর ক্রিকেটার নন, তিনি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। তাই তার ব্যাপারে বিসিবির কোনো লিখিত দায়-দায়িত্ব নেই।

তবে বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানিয়েছেন, তারা আফ্রিদি ইস্যু নিয়ে চট্টগ্রাম মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সমাধান করার প্রাণপণ চেষ্টা করবেন।

এআরবি/এমএমআর/এএসএম