কাফরুল থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর ওপর শুনানি শেষে কাঠগড়া থেকে আসামিদের নিচে নামানো হচ্ছিল। এ সময় পুলিশের সাবেক আইজিপি এ.কে.এম শহীদুল হক আদালতের পুলিশ পরিদর্শক ফারুককে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি তার শ্যালকের সঙ্গে দেখা করতে চান। তবে তার এ আবেদনে সাঁয় দেননি পুলিশ পরিদর্শক ফারুক। ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ধমক দেন সাবেক আইজিপি শহীদুল হক।
Advertisement
এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা শহীদুল হককে বলেন, যার সঙ্গেই কথা বলেন না কেন, আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এ সময় শহীদুল হক আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ‘পুলিশের জন্য কি না করেছি। পরে আসামি শহীদুল হককে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, সাবেক আইজিপি এ.কে.এম শহীদুল তার শ্যালকের সঙ্গে দেখা করতে চান। তবে আমরা সে সুযোগ দেইনি।
সোমবার (৩ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে কাফরুল থানার হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়।
Advertisement
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেন্দ্রিক কাফরুল থানার এক হত্যা মামলায় শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারসহ ছয় জনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
গ্রেফতার দেখানো অন্যরা হলেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও অপর সাবেক আইজিপি এ.কে.এম শহীদুল হক। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র তাদের গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন। এছাড়াও মোহাম্মদপুর থানার আরেক হত্যা মামলায় আনিসুল হককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও গত ১৮ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে গত ১৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে মামুনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এছাড়াও গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে শহীদুল হককে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
Advertisement
এমআইএন/এমআরএম/জিকেএস