রাজধানীর ধানমন্ডির জিগাতলায় মিতালী রোডের একটি বাসা থেকে মো. আকাশ সরদার (২৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
Advertisement
শনিবার (০১ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই মো. রাশেদ সরদার জানান, আমার ভাই পেশায় মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতো। এক বছর আগে আমার ভাই বিয়ে করে। বিয়ের একমাস পর থেকে আমার ভাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমার ভাই ঝিগাতলার মিতালী রোডের অগ্রণী ব্যাংক সংলগ্ন একটি বাসায় সাবলেট থাকতো। দুপুরের দিকে রুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস নেয় সে। পরে আমরা খবর পেয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, আমার ভাইয়ের স্ত্রীর আগে একটি বিয়ে হয়েছিল। সে আমার ভাইয়ে বাসায় আসতে চাইতো না। সবসময় গ্রামে বাড়িতেই থাকতো। আমার ভাই ঢাকাতে একা থাকতো। আমরা অনেকেই ভাইয়ের স্ত্রীকে বুঝিয়ে বলি, আমার ভাই অসুস্থ তুমি। পাশে থাকলে ভাই আমার ভালো হয়ে যাবে। তারপরেও আমার ভাইয়ের সঙ্গে ঢাকায় আসতে চায় না। কারণ সে আমার ভাইকে সহ্য করতে পারে না। সবসময় ভাইয়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতো। আমার ভাইয়ের কাবিননামায় ৩ লাখ টাকা কাবিন করে। ওই ৩ লাখ টাকা নিয়ে এই নারী তার দুলাভাইকে বিদেশে পাঠিয়েছে বলে জানান তিনি।
Advertisement
নিহতের ভাই জোর দাবি করে জানান, আমার ভাইকে মানসিক নির্যাতন করেই হত্যা করেছে সে।
নিহত মো. আকাশ সরদার গোপালগঞ্জ সদরের রহমত সরদারের সন্তান। বর্তমানে ধানমন্ডির জিগাতলা মিতালী রোডের অগ্রণী ব্যাংক সংলগ্ন একটি বাসায় থাকতেন। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
কাজী আল-আমিন/এএমএ/জেআইএম
Advertisement