অর্থনীতি

১২ মার্চ ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ছাড়ছে সরকার

আগামী ১২ মার্চ আসছে ৩ হাজার কোটি টাকার ‘বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক’। পঞ্চম সুকুকটি সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিপরীতে জারি করা হবে। আগামী ১২ মার্চ হবে এ বন্ডের নিলাম। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

Advertisement

সাত বছর মেয়াদি ইসলামি ধারার এই সুকুক সম্পদ ব্যবহারের বিপরীতে সরকার বা অরিজিনেটর বিনিয়োগকারীদের বার্ষিক ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে ষাণ্মাসিক ভিত্তিতে ভাড়া প্রদান করবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কমিটির সভায় সুকুক প্রসপেক্টাস ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দলিলাদি চূড়ান্ত করা হয়। এরপর কমিটির সদস্যরা শরিয়াহ ঘোষণাপত্রে সই করেন।

সুকুক বন্ড সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিপরীতে জারি করা হবে। এর মাধ্যমে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রকল্প এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন ও অকৃষি পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজ এবং স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন ব্যাংকে তারল্য বেড়েছে ৫১ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড় কমেছে, বেড়েছে পরিশোধ

বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুকুক ইস্যুর পরিমাণের ৭০ শতাংশ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক, ফাইন্যান্স কোম্পানি ও বিমা কোম্পানি, ১০ শতাংশ কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোর ইসলামিক শাখা ও উইন্ডোর অনুকূলে বরাদ্দ করা হবে। এছাড়া দেশি-বিদেশি ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের সুকুকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে ২০ শতাংশ সুকুক ব্যক্তি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স প্রভৃতি বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হবে। সব কনভেনশনাল ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিমা কোম্পানি শর্তসাপেক্ষে নিলামে অংশ নিতে পারবে।

উল্লেখিত তিন শ্রেণিতে প্রয়োজনীয় সাবক্রিপশন না পাওয়া গেলে তাদের মধ্যে অবশিষ্ট সুকুক আনুপাতিক হারে বরাদ্দ দেওয়া হবে। নিবাসী ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা তাদের নিজ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যেম সুকুকে বিনিয়োগ করতে পারবেন। অনিবাসী ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে কার্যরত যে কোনো ব্যাংকে তার বা তাদের নামে পরিচালিত অনিবাসী বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব অথবা অনিবাসী টাকা হিসাবের মাধ্যমে সুকুকে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে মুনাফা, বিক্রয় করা অর্থ ও মেয়াদপূর্তিতে প্রাপ্ত আসল বৈদেশিক মুদ্রায় (সব ধরনের প্রযোজ্য ফি এবং কর কেটে) প্রত্যাবাসনযোগ্য।

ইএআর/কেএসআর/এএসএম

Advertisement